বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সর্বভারতীয় স্তরে সকল বিরোধীদের একসঙ্গে নিয়ে বিজেপি বিরোধী দল গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করার পর কেমন যেন অন্য সুরে কথা বলছেন তিনি। লিডার নয় বরং ক্যাডার হওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে উপ-নির্বাচনে আরো একবার বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল নেত্রী হবার সুর।
দলীয় মুখপাত্র উৎসব সংখ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “একের পর এক রাজ্য থেকে যেভাবে ডাক আসছে, তাতে মনে হচ্ছে বাংলায় নেতৃত্ব দেবে নতুন ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে নিয়ে নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখছেন”।
এই বিষয়ে কংগ্রেসকে কিছুটা আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির কাছে কংগ্রেস অনেকবার পরাজিত হয়েছে, গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। দিল্লিতে যদি লড়াই না থাকে তাহলে মানুষের মনোবল অনেকটাই কমে যাবে এবং বিজেপি বেশি ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হবে। যদিও বাংলার ক্ষেত্রে এমনটা একেবারেই সেটা হয়নি। প্রত্যেকদিন ডেলি প্যাসেঞ্জার ই করেও বাংলা দখল করতে পারেনি। বাংলার মানুষ তৃণমুলকেই চেয়েছে”।
তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের স্বার্থে সকলকে একজোট হতে হবে। তাই আমরা কংগ্রেসকে এখনই বাদ দেওয়ার কথা ভাবছি না। আমরা চাই বিরোধী জোটকে আরো শক্তিশালী করতে হবে”। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,” যেখানেই কংগ্রেস লড়ছে চাইছে, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি করে দিচ্ছে। বারবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের ঐক্য নষ্ট করতে চাইছে তৃণমূল। কংগ্রেসকে নির্মূল করার জন্য তৃণমূলকে কোথাও না কোথাও ইন্ধন যোগাচ্ছে বিজেপি”।