সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারির কিছু সময় পর থেকেই তোলাবাজি, টাকা দিয়ে সাক্ষী কেনা থেকে শুরু করে জাল তফশিলি সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাওয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনসিবি কর্তা। তাঁকে আরিয়ান মামলা থেকে সরাতে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও পালটা অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।
গত বছরই তাঁকে আরিয়ান মামলা থেকে সরিয়ে তদন্তভার দেওয়া হয় সঞ্জয় কুমার সিংকে। তবে এবার মাদক মামলায় আরিয়ান খান ক্লিনচিট পাওয়ার পরই বিপাকে প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। ঠিক মতো তদন্ত করতে পারেননি।
আরো পড়ুন: সুনামি স’ত’র্ক’তা জা’রি ভারত মহাসাগর জুড়ে! কিন্তু কে’ন?
এমনই অভিযোগ উঠেছে এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দাখিল করারও অভিযোগ আনা হয়েছে বলে খবর। শোনা গিয়েছে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে।
২০২১ সালের ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে এনসিবি হানার নেপথ্যে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকেই আটক করা হয় আরিয়ান খানকে। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বেই আরিয়ান মামলার তদন্ত শুরু হয়।
তারপর একাধিকবার আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। টানা ২৬ দিন জেলে কাটিয়ে জামিন পান আরিয়ান। মাদক মামলায় এতদিনে আরিয়ান খানকে ক্লিন চিট দিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এনসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শাহরুখ খানের বড় ছেলের বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রমাণ মেলেনি।
তবে শুধুই আরিয়ান খান নয়, মাদক মামলায় অভিযুক্ত আরও ৫ জনকেও ক্লিনচিট দিয়েছে এনসিবি। শোনা যাচ্ছে, এরপরই ‘জঘন্য’ তদন্ত করার অভিযোগ উঠেছে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। একাধিক গাফিলতির অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন এনসিবি কর্তা।