সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ক’ম! “লক্ষ্মীর ভান্ডার” ব’ন্ধ করার হুঁ’শি’য়া’রি টিএমসি নেতার

যতদিন যাচ্ছে বাংলার শাসকদলের প্রতিনিধি দের এক এক করে সব দুর্নীতি সন্মুখে আসছে। মানুষ বুঝতে পারছে কাকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে তারা বা কাদের উপর ভরসা করেছেন তারা। তবে শাসকদল ও বসে নেই। নিজেদের ভাবমূর্তি পরিষ্কার রাখতে তারাও দুর্নীতির ইস্যু কে ছোটো করে দেখিয়ে বড়ো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন বিরোধীদের চক্রান্তকে। কিন্তু মানুষ এখন আর এত বোকা নেই। সবটাই বুঝতে পারছেন।

তবে সম্প্রতি আমাদের ভারতের যেখানে গণতন্ত্রের রাজ চলে সেখানে একনায়কতন্ত্র টাইপ কথা বার্তা শোনা যাচ্ছে। যা অবাক করেছে সাধারণ মানুষকে। গতকালপশ্চিম মেদনীপুরের ঘাটালের দাসপুরে দলীয় কিষান ক্ষেতমজুর সংগঠনের তরফ থেকে একটি একটি তৃণমূলের জনসভা আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, শ্রীকান্ত মাহাতো, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান অমল পান্ডা ও আরো অন্যান্য নেতারা।

তবে সেখানে অমলবাবু বক্তৃতা দিতে উঠে এমন কিছু মন্তব্য করেন যা নিয়ে গোটা বাংলা বর্তমানে উত্তাল। তিনি ওই ভরা সভায় বলেন, “একটা পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখছি, আজ ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা কম। মায়েদের সংখ্যা এত কম কেন? আপনাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে, এটা মনে রাখবেন।” এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পূর্ণেন্দুদাকে বলব, দিদিকে বলে লক্ষ্মী ভাণ্ডার বন্ধ করে দিন।”

আরো পড়ুন: রাশিয়ার ধ্বং’স করা সবচেয়ে বড় পণ্যবাহী বিমান ফে’র সে’জে উঠলো

আর এই কথা রীতিমত আশ্চর্য করেছে জনসাধারণকে। শাসক দলের প্রতিনিধিদের এ কেমন ব্যাবহার। একদিন কম লোক হওয়ার জন্য একটা স্কিমই বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেন। বিরোধী রাজনৈতিক মহল এই নিয়ে সরব হয়েছে।

যদিও এখনও এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি তৃণমূলের শীর্ষ অধিকর্তারা কিন্তু এই নিয়ে রাজনৈতিক বেক্তিবর্গরা বসে নেই। ওই জনসভায় মহিলাদের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি মাঝে শাসকদলের একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।