সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চা’লা’ক স্বামী! চতুর্থ বউকে খু’ন করে তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে দ্বিতীয় বউয়ের বাড়িতে আ’শ্র’য়

একের পর এক বিয়ে করতে করতে সংখ্যাটা পৌঁছেছিল চারে। প্রথম তিন স্ত্রীকে বাদ দিয়ে চতুর্থ স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। তবে চতুর্থ স্ত্রীকে সন্দেহের বশে খুন করতে হলো শেষ-মেষ! তাও আবার তৃতীয় স্ত্রীকে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে! খুন করার পর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই দুই খুনি! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সোহাইল আহমেদ। পোশাক সেলাই করে সংসার চালাতো সে। সামান্য একজন দর্জির এতগুলো বিয়ের কথা শুনে স্তম্ভিত হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গত বছরের 21 শে জুলাই হালিশহরের একটি বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই সময় খুনের তদন্ত করে রহস্যের সমাধান করা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ ওই মহিলার স্বামী নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল।

অবশেষে সেই রহস্যের কিনারা হলো। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে প্রায় দেড় বছর পর গ্রেফতার করতে পেরেছে বাংলাদেশের পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সমস্ত দোষ তারা স্বীকার করে নিয়েছে। মৃত ওই মহিলার নাম লাকি আখতার। তিনি ওই ব্যক্তির চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। তাকে সনাক্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশের পুলিশ।

খুনের সময় সোহাইলকে সাহায্য করেছিল তার তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা। এরপর সেখান থেকে তারা পালিয়ে গিয়ে বাগেরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়। দ্বিতীয় স্ত্রী এই খুনের সঙ্গে জড়িত কিনা সে সম্পর্কে এখনো পুলিশের কাছে বিশেষ কোনো তথ্য নেই। বাংলাদেশের পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, নিতান্তই সাধারণগোছের দেখতে হলেও ওই ব্যক্তি ভীষণ ধূর্ত। খুনের আগে সে নিজের জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে। খুনের পর ফোন নম্বর পাল্টে ফেলে। যদিও শেষমেষ পুলিশ অবশ্য লাকি আখতারের মৃত্যু মামলায় সোহাইল এবং তার তৃতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।