এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ভয়টা কিসের? তাহলে উত্তর আসবে জঙ্গী হামলা। আজ্ঞে হ্যাঁ কোন দেশের কথা হচ্ছে আপনারা হয়তো বুঝতেই পারছেন। গত কয়েক দিন আগেই করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দারুন বিস্ফোরণ ঘটেছে, যার কারণে চিনা শিক্ষকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
তাই চীন কোন ভাবেই চাইছে না তাদের দেশের নাগরিক পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে যুক্ত থাকুক। সত্যি কথা বলতে এখন চিনা শিক্ষকদের দারুন ভয়ে দিন কাটছে।
তাই বেজিং ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত শিক্ষকরা যেন নিজেদের দেশে ফিরে আসে। চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় এর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে জঙ্গী হামলা চালানো হয়, আর সেই হামলাতেই ৩ জন চিনা শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন: Andrew Symonds-এর মৃ’ত্যু ঘিরে ন’য়া রহস্য, প্রয়াত ক্রিকেটারের বোনের দা’বি ঘিরে চা’ঞ্চ’ল্য
তাই আর কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে,বেজিং নির্দেশ দিয়েছে সমস্ত চিনা শিক্ষক যাতে তাদের নিজেদের দেশে ফিরে আসে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে চিনা শিক্ষকরা কেন করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন? আসলে কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে,মান্দারিন ভাষা শিক্ষা দেওয়াই ছিল এই ইনস্টিটিউট এর মূল উদ্দেশ্য।
এই ইনস্টিটিউটের মধ্যেই শিক্ষকতা করতেন চিনা শিক্ষকরা। এতে মনে করা হয়েছিল দুই দেশের সম্পর্ক আরো অনেকটাই গাঢ় হবে।দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরো বেশি সুন্দর করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি সেই কথা বলছে না। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ডক্টর নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশের সব কয়েকটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট থেকে চীনা শিক্ষকদের নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে চীন। তাই এখন পাকিস্তানের শিক্ষকরাই তাদের ফাঁকা পূরণ করবে।
