বিশ্বে করোনার জন্য যে চীন দায়ী তার,বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী উঠে এসেছে। করোনার মতো মহামারী গোটা বিশ্বকে উপহার দিয়েছে এই চীন, তবে এইবারে চীন যে এক বিশাল বড় বিপদে পড়ে গেছে। বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা বিপুল হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে এক প্রকার রাতের ঘুম উড়েছে চীন সরকারের। চীনের বেশি সন্তানের জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম কানুন নির্ধারিত করা হলেও সেই সমস্যা থেকে বেরোতে পারেনি চীনের সরকার। কিন্তু বর্তমানে দেখা দিয়েছে এর উল্টো একটি সমস্যা।
মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে যে গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথমদিকে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকের মধ্যে কমে গেছে। এরকম কেন হচ্ছে সেই বিষয়েই রেডিও ফ্রী এশিয়ান রিপোর্টে বলা হয়েছে শুধুমাত্র যে করোণা মহামারীর জন্যই বিয়ে করার প্রবণতা থেকে মানুষজন পিছিয়ে গেছে, তা নয় সরকারের যে সমস্ত নিয়ম-নীতিগুলো লাভ করা হয়েছে সেগুলি সঠিকভাবে পালন না করার কারণেই বিষয়গুলো হচ্ছে।
একটি চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির যুব সংগঠনের সমীক্ষা দ্বারা দেখা গেছে যে বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী এখন বিয়ের ব্যাপারটা থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে চীনের প্রায় ৪৩ শতাংশের ওপরে মহিলারা চান বিয়ে না করে থাকতে। কিরকম ভাবে বিয়ে যদি না করা হয় তবে এই ব্যাপারটি আর্থিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে ।
দেখা গেছে যে ছোট শহরের যুবকেরা বেশিরভাগ বিয়ের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে অর্থনীতি উন্নতি হওয়ার সাথে সাথেই যুবকেরা চাইবে যে একা থেকে নিজেদের স্বাধীনতা কে বজিয়ে রাখতে। চীনের রাষ্ট্রপতি জিনপিংয়ের এই বিষয়ে চিন্তা বেড়ে গিয়েছে কারণ তাদের মতে বিয়ে না হলে সন্তানের জন্ম কোন মানুষই দিতে চাইবে না ফলে দেশের জনসংখ্যা ভবিষ্যতে অনেক পরিমাণে কমে যাবে।
