সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উ’ল্টো পথে হাঁ’ট’লো চীন, কো’ভি’ড বি’ধিই তু’লে দিলো জিংপিংয়ের দেশ!

তিল ধরনের জায়গা নেই শ্মশানে। প্রিয়জনকে দাহ করার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রায় একদিন। সম্প্রতি মহামারী নতুন ধাক্কা একটি সম্পূর্ণ দেশকে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই চীন সরকার সিদ্ধান্ত নিল, সমস্ত কড়াকড়ি বন্ধ করে দেওয়ার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নতুন বছরের ৮ই জানুয়ারি থেকে চালু হয়ে যাবে সবকিছু।

গত দুই বছর ধরে সম্পূর্ণ লকডাউন মেনে চলছিল চীন। এই লকডাউন মানতে গিয়ে বহু মানুষের অসুস্থতা বেড়ে গিয়েছিল আবার বহু মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছিল। জিরো কোভিড নীতি-মানতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শিকার হতে হয়েছিল চীন সরকারকে। তখনো নতুন সংক্রমণ শুরু হয়নি। কিন্তু মানুষের বিক্ষোভের সামনে পড়ে চীন সরকারের লকডাউন তুলে দিল তাও আবার পুরোপুরি।

এই লকডাউন তুলে দেবার পরই নতুন ভাবে আক্রান্ত হল চীনের মানুষ কারণ চীনে তৈরি যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে চীনের মানুষকে সেটাও ঠিকমতো কাজ করেনি। অন্যদিকে টানা দুই বছর বাড়িতে থাকার ফলে হার্ট ইমিউনিটি তৈরি হতে পারেনি সাধারণ মানুষের শরীরে।

আরো খবর: কো’ভি’ড নিয়ে উ’দ্বে’গ’জনক খবর দেশে! জেনে নিন

নতুন করে সংক্রমণের মধ্যেই চীন সোমবার জানাল, তারা আর কোন নতুন নিয়ম মানবে না। বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের যে কোভিদ পরীক্ষা এবং সাতদিন কোয়ারিংটনে থাকার নিয়ম মানতে হতো সেটাও এখন মানার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন চীন সরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটকদের কাছে অবারিত করে দেওয়া হবে চীনের প্রবেশের দরজা।

দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছেন, বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে যাদের জ্বর বা ফ্লু এর মত কোন উপসর্গ থাকবে তাদেরই পরীক্ষা করা হবে, বাকিদের নয়। কমিশন আরো জানিয়েছেন, শীঘ্রই চিনার বাসিন্দারা চীন থেকে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। তবে তাদের ক্ষেত্রে কোভিদ পরীক্ষা নিয়ম মানা হবে বলে জানিয়েছে চীন।

কিন্তু যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক ছাড়িয়ে গেছে সেখানে হঠাৎ করে এমন উল্টো পথ কেন নিল চীন সরকার তার স্পষ্ট ধারণা এখনো করা যায়নি। চিনি বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিদ চিকিৎসার ঔষধ সরবরাহ বাড়ি দিয়েছে চীন সরকার।

বিদেশে তৈরি করো না মোকাবিলার এই একটি মাত্র ওষুধকে অনুমোদন দিয়েছে চীন। তবে কি বোঝা যাচ্ছে এবার প্রতিরোধের পথে না গিয়ে প্রতিকারের দিকে নজর দেবে চীন? কি ফলাফল দেখা যাবে তার ফলে? এসব কিছু জানতে গেলে আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।