সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভাড়াটেকে উ’ঠ’তে বললেও উঠছে না? মালিক-ভাড়াটে চু’ক্তি’তে ন’য়া সি’দ্ধা’ন্ত কেন্দ্রের

বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার দ্বৈরথ কার্যত শাশুড়ি-বৌমার দ্বৈরথের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়! বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে, দুজনেরই দুজনকে প্রয়োজন। অথচ বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাদের অশান্তিও কিছু কম নয়। এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার কেন্দ্রীয় সরকার মডেল বাড়িভাড়া আইনের উপর সবুজ সংকেত দিল। এই আইন অনুসারে ভাড়া নিয়ে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার মধ্যে যে সমস্যাগুলি এতোকাল ধরে চলে আসছে, সেই সমস্যা নিরসন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

মডেল ভাড়াটে আইন বা টেনেন্স আইনের আওতায় রাখা হয়েছে বেশ কিছু শর্ত এবং নিয়ম। সেখানে জানানো হয়েছে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাড়াটে যদি বাড়ি ছাড়তে না পারেন তাহলে তাকে প্রথম দুই মাস দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হবে। এরপরেও যদি তিনি বাড়ি না ছাড়েন তাহলে তাকে প্রতি মাসে চার গুণ ভাড়া দিতে হবে। ব্যক্তিগত কারণে বাড়ি ভাড়া নিলে সেক্ষেত্রে তাঁকে ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ হিসাবে দু’মাসের ভাড়া অগ্রিম দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই আইনে।

ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে ছয় মাসের ভাড়া অগ্রিম দিতে হবে। ভাড়া নেওয়া বাড়ির অন্য অংশ ভাড়াটে অন্য কাউকে ভাড়া দিতে পারবেন না। পাশাপাশি বাড়িওয়ালাদের নির্দেশ, ভাড়া নিয়ে সমস্যা হলেও জল এবং বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করা যাবে না। ভাড়াটেদের সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে এই আইনে। সেখানে জানানো হয়েছে বাড়িওয়ালা যদি ভাড়াটেকে সিকিউরিটি ডিপোজিটের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে না দেন তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে দ্বিগুণ সুদ দিতে হবে।

বাড়ি ভাড়া বাড়াতে হলে তিনমাস আগে নোটিশ দিতে হবে। উভয়পক্ষের মধ্যে যদি লিখিত অনুমতি থাকে তাহলে জোর করে ভাড়াটেকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না।রঙ, কাঠামোগত মেরামত, নলকূপের প্রতিস্থাপন এবং নলকূপের পাইপ বদলানো, ঘরে বা বাইরে ইলেকট্রিক মেরামত করার দায়িত্ব বাড়িওয়ালার উপরে থাকবে। এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে মডেল বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত আইনে।