সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অভিষেক এ জী’ব’নে যা যা পাননি তা যে’ন পরের জ’ন্মে মি’টে যায়: ঋতুপর্ণা

আচমকা সাতসকালে এমন একটি খবর আমরা পেলাম যার ফলে শোকোস্তব্ধ হয়ে গেলাম আমরা। অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর এই অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা টলিপাড়া। বাংলা সিনেমার অন্যতম একজন দুর্দান্ত অভিনেতা হলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এক সময়ে সিনেমার হিরো বলতে আমরা শুধুমাত্র জানতাম এই অভিনেতাকে।

সুপুরুষ এই অভিনেতার প্রেমে একসময় পড়েছিলেন বহু নারী। আজ সেই অভিনেতা আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বুধবার রাতে একটি রিয়েলিটি শো এর শুটিং করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন হঠাৎ করে। বারবার বমি হয় স্যালাইন দিতে হয় তাকে। কিন্তু স্যালাইন জল খেয়ে শরীর ঠিক হয় না।

তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাত এক টা চল্লিশ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে এই খবর সংবাদ মাধ্যমিক দ্বারা পৌঁছে গেছে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। ঋতুপর্ণা সহ আরও সহকর্মীরা অভিষেকের এই অকাল প্রয়াণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুন: অমিত শাহের কা’ছে রাজ্যপালকে স’রা’নো’র দা’বি করলো তৃণমূল

অভিষেক বলেছিলেন সেই সময় পর্যন্ত তিনি অভিনয় করে যাবেন। এই কথা যে এতটা সত্যি হয়ে যাবে তা হয়তো কেউ জানত না। গুনগুনের বাবার চরিত্রে এতটাই মানিয়ে ছেলে ছিলেন তিনি নিজেকে যে অভিষেক না থাকার ফলে এই সিরিয়ালের জৌলুস কিছুটা হলেও কমে যাবে।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহকর্মীর অকাল প্রয়াণে বলেছেন, জীবনটা বড়ই আনপ্রেডিক্টেবল। কখন কি হয় কেউ বলতে পারবেনা। কিন্তু যখন যার সময় নয় তখন যদি কেউ চলে যায় তখন সত্যিই খুব দুঃখ লাগে। আমার সঙ্গে একাধিক হিট সিনেমা করেছে অভিষেক। একসময় সেরা জুটি ছিলাম আমরা বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।।

সুজনসুখী সিনেমার প্রযোজক অসীম সরকারও এখন বেঁচে নেই। তিনি আমাকে বলতেন, তুমি আমার লক্ষ্মী। অভিষেকের ও কাজের প্রশংসা করতেন তিনি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ভালো ডান্সার হিসেবে ভীষণভাবে বিখ্যাত ছিল টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কথায়, লম্বা সুপুরুষ এমন একজন অভিনেতা খুব কম দেখা গেছে বাংলা সিনেমাতে। বাংলা সিনেমা যখন খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি,প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত এবং অভিষেকের মত কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই বাংলা সিনেমা ধরে রেখেছিলেন। সহকর্মীদের মধ্যে একজন চলে যাওয়াই ভীষণভাবে খারাপ লাগছে আজ আমার।