ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনোকের কপালে শনি। সিটবেল্ট না বাধায় মোটা অংকের আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক আইন না মানায় ব্রিটিশ ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ১০০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে তাকে। একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে এই জরিমানার ব্যাপারে জানিয়েছে ল্যানকশায়ার পুলিশ।
তবে ঋষি ইচ্ছে করে এ কাজ করেনি বরং সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের জন্য একটি ভিডিও শুটিং করছিলেন তিনি আর তখনই এই বিপত্তি ঘটে। চলন্ত গাড়িতে বসেছিলেন তিনি কিন্তু তার সিট বেল্ট বাধা ছিল না। তার কারণেই জরিমানা দিতে হবে তাকে।
কারণ তিনি গর্হিত অপরাধ করেছেন। যদিও তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে জানিয়েছেন এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবুও জরিমানার হাত থেকে নিস্তার পাবেন না তিনি। ছোট্ট একটি ভিডিওর শুটিং ছিল আর সেই শুটিংয়ের জন্য কয়েক মিনিটে তিনি সিট বেল্ট বাঁধেননি।
আরো খবর: ইলেক্ট্রিক খুঁটি ও গাড়ির চাকায় কেন প্র’স্রা’ব করে কুকুররা?
ব্যাস তাকে পড়তে হয়েছে বিপদে। কোন ব্যক্তি যদি সিটবেলট না বাধেন তবে ঘটনাস্থলেই তাকে ১০০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়। আবার ঘটনাস্থলে কেউ যদি সেই জরিমানা দিতে অস্বীকার করে তবে পরিমাণ বেড়ে হয় ৫০০ পাউন্ড। এক্ষেত্রে অবশ্য জরিমানা দিতে কোন তালবাহানা করেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে তৈরি একটি ব্রিটিশ তথ্যচিত্র সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ব্রিটিশদের তৈরি এই তথ্যচিত্রের করা সমালোচনা করে ভারত। ভারতের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করা হয় কেন্দ্রের তরফে।
এমনকি ইউটিউব থেকে তুলে নেওয়া হয় ওই তথ্যচিত্রটি। এদিকে নিজের স্বদেশ নিয়ে অবশ্য কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি ঋষি সুনোককে। তবে তিনি ঐ তথ্যচিত্রের সমালোচনা করে বলেন যেভাবে একজন মানুষের চরিত্রায়ন করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।