সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পশুর মতোই এখানে খাঁচাবন্দি হ’য়ে থাকেন মানুষজন, ভা’ড়া মাসে ২০ হাজার টা’কা

যাকে যেমনভাবে আমরা দেখে অভ্যস্ত তাকে যদি তেমন ভাবে দেখা না যায় তাহলে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যাই আমরা নিজেরাই। এই যেমন ধরুন সিংহকে আমরা বনে অথবা চিড়িয়াখানা দেখতে পাই, এই সিংহকে যদি আপনি আপনার বাড়ির উঠোনে ছুটে বেড়াতে দেখেন তাহলে কি ভালো লাগবে আপনার? ঠিক তেমনি আমরা অর্থাৎ মানুষরা নিশ্চয়ই পশু পাখির মতো গাছে অথবা বনে জঙ্গলে বসবাস করি না, আমাদের জন্য রয়েছে বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট।

কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি দেশ রয়েছে যেখানে মানুষরা বন্য প্রাণীদের মতো খাঁচায় বসবাস করেন। কি ভাবছেন একেবারে অনুন্নত দেশের কথা বলতে চলেছি আপনাকে। একেবারেই নয়, এটি হলো এশিয়ার অন্যতম সম্পদশালী দেশ যার নাম হংকং।

হংকং চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এশিয়ার বহুতল অট্টালিকার যে কয়টি শহর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি। দেশের বিশাল বিশাল অট্টালিকা মাঝে কেন কিছু মানুষ শুধুমাত্র খাঁচার মধ্যে দিনের পর দিন জীবন অতিবাহিত করে দেন তা অতি অকল্পনীয় বলে মনে হয়।

আরো পড়ুন: পাকিস্তানে “ব্রহ্মস” মিসাইল ভে’ঙে পড়তেই ভারতে হা’ম’লা’র ছ’ক ইমরানের: মার্কিন রি’পো’র্ট

কিন্তু হংকং শহরে এই ধরনের খাঁচার মধ্যে বসবাস করা একেবারে আইনসিদ্ধ একটি কাজ। যে কেউ লাইসেন্স নিয়ে খাঁচার বাসা পরিচালনা করতে পারেন এবং মানুষকে ভাড়া দিতে পারেন। তবে হংকংয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই খাঁচায় বাস করেন তা বলাই বাহুল্য।

যে মানুষগুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে না, যে মানুষগুলো দিনের শেষে এতটাই অবহেলিত হয়ে পড়েন যে তাদের একটি বাড়ি কেনার অথবা ভাড়া নেওয়ার সামর্থ্য থাকে না তাই বেশিরভাগ এই খানে থাকেন, তবে এই খাঁচাতে থাকতে গেলেও একটি মোটা অর্থ ব্যয় করতে হয় তাদের।

আপনি হয়তো ভাববেন এখানে বিনামূল্যে থাকে এই সমস্ত ব্যক্তি কিন্তু তারা একেবারেই ভুল, এই কাচার জন্য প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হয় ১৮০০০ থেকে ২০০০০ টাকা। সাধারণত এই বহুতল ভবনের প্রত্যেকটি ফ্যাটি অনেকগুলি খাঁচা থাকে যার মধ্যে তাঁকে একজন করে মানুষ।

এর বিপরীতে থাকে দুটি শৌচাগার যেখানে প্রতিদিন এই খাচার মানুষগুলি শৌচ কর্ম করেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের অর্ধেক জীবন এই খাঁচার বাসার মধ্যে কেটে গেছে এখন শুধুমাত্র অপেক্ষা করছেন মৃত্যুর জন্য।