সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তবে কি বাংলার রাজ্যপাল সৌগত রায় হবেন? এ কি ব’ল’লো প্রধানমন্ত্রী?

সোমবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে রাজ্যপালকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। বাজেট অধিবেশনের সূচনা বক্তৃতার পরই সেন্ট্রাল হলের প্রথম সারিতে যে সকল দলনেতা বসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এক-এক করে গিয়ে দেখা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সৌজন্য নমস্কার বিনিময় করছিলেন তিনি। ঠিক সেইসময়ই সুদীপ বন্দ্যোপাধয়ায় আবেদন জানান যে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে অপসারণ করুন। সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে অবিলম্বে অপসারণ করুন।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন সৌগত রায়। মোদীর দেখা করে সৌগত রায় এই আবেদন জানান যে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে কাজ করছেন, তাতে তিনি সংবিধানের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হচ্ছে রাজ্যপালের আচরণের জন্য। তাই এই রাজ্যপালকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক। এদিন সৌগত রায়ের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, “আগে আপনি অবসর নিন। তারপর দেখব।”

সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সৌগত রায় জানান, ” আমি অবসর নিলে আমাকে এই রাজ্যপাল করতে চাইলেন বোধহয়। তবে মোদী মজার ছলে একথা বললেন কিনা সেটা বুঝতে পারলাম না।”

উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধয়ায় আগেই নির্দেশ দিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিষয়টি তুলতে হবে। আর সেই জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সুখেন্দুশেখর রায়কে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্যসভাতে এবিষয়ে নোটিস বা পিটিশন নিয়ে আসবে তৃণমূলের। তবে তার আগেই লোকসভার নেতাদের তরফে এই তৎপরতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে রাজ্যপাল ইস্যুতে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল।