আমরা সাধারণত সিনেমায় দেখে থাকি ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট কিভাবে ছদ্মবেশে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছে । কিছুদিন আগে ইডির কেরামতি আমরা সকল বঙ্গবাসী দেখলাম। কিভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটা বিরাট টাকার সংখ্যা উদ্ধার করেছে তারা। ঠিক সেরকমই ঘটনা ঘটতেদেখা গেলো মহারাষ্ট্রে।
অনেক আঁটঘাট বেঁধেই অভিযান চালায় আয়কর দফতর বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের জালনা এলাকায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪০০ কোটির সম্পত্তি। যতকিছু উদ্ধার করা হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে নগদ ৫৬ কোটি টাকা, ৩২ কেজি সোনা, ১৪ কোটি টাকার হিরে। এছাড়াও অনেক নথি পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে। ভাবা যায়!
কিছুদিন আগেই আয়কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পায় আয়কর বিভাগ। আর তারপরেই তাঁরা এই পরিকল্পনা করেন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তল্লাশি অভিযানের ব্যাপারে যাতে আগেভাবে কেউ টের না পেয়ে যান, সে কারণেই ১২০টি গাড়িকে বরযাত্রীর গাড়ির আদলে সাজানো হয়েছিল।
আরো পড়ুন: আর কতক্ষণ দে’রি করতে হবে? ফুড ডেলিভারি বয় দরজায় আসতেই হ’ত’বা’ক গ্রাহক
কয়েকটি গাড়িতে বোর্ডে লেখা ছিল ‘দুলহন হাম লে যায়েঙ্গে’ সিনেমার স্টাইলে। শুধু তাই নয়, আয়কর দফতরের প্রায় আড়াইশো কর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরাও বরযাত্রীর বেশ ধারণ করেছিলেন এই মিশনের জন্য। ফলে কারও বোঝার উপায় ছিল না যে, এটা আদতে বিয়েবাড়ির গাড়ি নয়, বরং আয়কর দফতরের গাড়ী।
আর তার পরেই আসে এই মিশনের সাফল্য। আয়কর দপ্তর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে এই বিপুল সম্পত্তি।আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোটি কোটি টাকার গয়না ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আগাম পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যা টাকা পাওয়া গেছে তা গুনতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছে।