সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গুঁড়ো দুধ কি নবজাতক শিশুকে খাওয়াচ্ছেন? WHO-র সত’র্ক’বা’র্তা জেনে নিন

সুষম খাদ্যের মধ্যে প্রথমেই আসে মায়ের দুধের নাম। মায়ের দুধে যে তেজ ও তাখত পাওয়া যায় আর কোন খাদ্যে তা নেই। কিন্তু বর্তমানে মায়ের দুধের অনেক বিকল্প এসেছে বাজারে। নানান শারীরিক জটিলতায় হয়তো মায়েরা নিজের সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারে না। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন দুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার উপরে ভরসা করতে হয়।

ভারতসহ গোটা বিশ্ব জুড়ে এমন বহু দেশ রয়েছে যারা মায়ের দুধের বিকল্প তৈরি করেন। গুঁড়ো দুধ বা ফর্মুলা দুধ আদৌ কি এগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? কি উপাদান দিয়ে তৈরি এইসব দুধ? সম্প্রতি এই ব্যাপারে সতর্ক করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের একটি বড় মাপের মেডিকেল পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে একটি গবেষণার রিপোর্ট।

সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে সতর্ক হতে হবে মায়েদের। বিভিন্ন সংস্থাগুলি তাদের ফর্মুলা দুধ বাজারে বেশি বিক্রি হওয়ার জন্য নানান রকম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর। তাই অনেকে ইচ্ছে থাকলেও বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না সন্তানদের। তার বদলে দোকান থেকে কিনে আনছেন নামিদামি কোম্পানির ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ।

আরো খবর: চিকে’ন প’ক্স হলে সাবধানবাণী গুলো কি কি? ডায়েট চা’র্টে কি কি রাখবেন?

এই পাউডার দুধ কখনো মায়ের দুধের বিকল্প হতে পারি না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গরুর দুধ দিয়েই তৈরি হয় ফর্মুলা দুধ কিন্তু তা নানান রকম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়। গরুর দুধের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে আসে এর ফলে। সদ্যজাত বাচ্চার পুষ্টির জন্য যে পরিমাণ দুধ তার শরীরে পৌঁছানোর দরকার সেই দুধ পৌঁছায় না।

শিশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিশুদের প্রধান খাদ্য মায়ের বুকের দুধ! ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুরা কেবলমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান করেন। কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত দুনিয়ায় অনেকেই সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারেন না। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি গবেষণা করা হয় সেখানে দেখা যায় ৮৫০০ জন অভিভাবক এবং ৩০০ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সাক্ষাৎকার অনুযায়ী আশি শতাংশ মায়েরাই ফর্মুলা দুধের উপরেই নির্ভর করে থাকেন।

আর এই সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ মেক্সিকো নাইজেরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা চীনের মতো দেশগুলিতে। সন্তান জন্মানোর প্রথম এক ঘন্টায় তাদের বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই জরুরী। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তার স্থূলতাকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই দুধ। এমনকি ক্যান্সার ডায়াবেটিসের নতুন রোগের ঝুঁকি কমাতে ও সাহায্য করে এই অব্যর্থ দুধ