বসন্ত শুরু হতেই বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বসন্ত ঋতু মনোরম হলেও বিভিন্ন রোগের আঁতুড় ঘর। বাতাসে ভেসে বেড়ায় নানান রকমের সক্রিয় ভাইরাস আর তার মধ্যে অন্যতম হল এই চিকেন পক্সের ভাইরাস। গুটি বসন্ত কোন ব্যক্তি একবার যদি আক্রান্ত হন তবে দ্বিতীয়বারও তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর এটা পুরোপুরি নির্ভর করে ওই ব্যক্তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর।
অনেকেই জানেন না চিকেন পক্সের প্রাথমিক লক্ষণ। সাধারণত জ্বর গা ব্যথা এবং শরীরে দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। গন্ডগোল দেখা দিতে পারে পেটের।ত্বকে ছোট ছোট পিম্পল বের হতে পারে ধীরে ধীরে এর আকার বাড়তে থাকে।এই লক্ষণ কিন্তু হেলা করবেন না সঙ্গে সঙ্গে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। এই চিকেন পক্স সাত থেকে দশ দিন ধরে থাকে রোগীর শরীরে।
সাধারণত এই সময় রোগীকে ১০ দিন থেকে ২১ দিন বিশ্রাম নিতে বলা হয়। শরীরে ফোসকা পড়ে আর এই আকার বেশ বড় হয়ে যায়। এটি আসলে একটি বায়ুবাহিত রোগ এবং এই রোগের সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চিকেন পক্সে আক্রান্ত যে কোনো রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই উচিত। ভেরিসেল্লা জস্টার নামের একটি ভাইরাসের কারণে চিকেন পক্স দেখা যায়।
আরো খবর: টা’কা’র জো’রে একটি জনমানবহীন দ্বীপের মালকিন হলেন চাইনিজ তরুণী, চি’ন্তা’য় জাপান
কেউ যদি এই রোগীর সংস্পর্শে আসেন এবং তার ব্যবহার করা জিনিসপত্র ব্যবহার করেন তবে সে ক্ষেত্রেও তিনি আক্রান্ত হতে পারেন।এছাড়া হাঁচি কাশি সর্দির মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। নবজাতক শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে।
শীত হালকা কমতে শুরু করলেই সজনে ফুল ও শাক খাওয়া উচিত। এছাড়া করোলা উচ্ছে নিমপাতা ইত্যাদি এই রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। কমলালেবু এবং আমলকি খেতে পারেন ভিটামিন সি পেতে।
ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়কালে চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই সময় দুধের তৈরি যে কোন খাবার কম খাওয়াই ভালো। এছাড়া তেল মশলা ও ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলায় বাঞ্ছনীয়।