বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মচারীদের পাশাপাশি সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীরাও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাই সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এবার এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্য খুশির খবর শোনালো কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শনিবার এ-সংক্রান্ত একটি বিশেষ ঘোষণা করেছেন।
শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, সংগঠিত ক্ষেত্রে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রভিডেন্ড ফান্ডে (পিএফ) কর্মী (এমপ্লয়িজ) এবং নিয়োগকারীর (এমপ্লয়ার্স) অংশের টাকা জমা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে চলতে হবে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, যারা করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়েছিলেন এবং সংগঠিত ক্ষেত্রে ছোটোখাটো চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাদের জন্য প্রভিডেন্ড ফান্ডের এমপ্লয়িজ এবং এমপ্লয়ার্স কন্ট্রিবিউশনের টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনেও (ইপিএফও) ওই অসংগঠিত ক্ষেত্রগুলিকে এবার থেকে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের হাতে বাড়তি কিছু টাকা আসবে। মালিকদের খরচ কমবে। সেই সঞ্চিত অর্থ তারা অন্যত্র ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে করোনা পরিস্থিতিতে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য গত বছরের মার্চ মাসেই প্রভিডেন্ড ফান্ডে (পিএফ) কর্মী (এমপ্লয়িজ) এবং নিয়োগকারীর (এমপ্লয়ার্স) অংশের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সে সময় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে শুধুমাত্র ছোট সংস্থার কর্মচারীদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। যে সব সংস্থায় ১০০ জনের কম কাজ করেন ও ৯০ শতাংশ কর্মী মাসিক ১৫,০০০ টাকার কম বেতন পান, তাদের পি এফ এর টাকা মিটিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানানো হয়েছিল।