সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বালির নি’চে গোটা যুদ্ধজাহাজ, খুঁ’জে বের করেও ফের ডু’বি’য়ে দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

ইতিহাসবিদরা বালিয়াড়ির নীচে আস্ত যুদ্ধজাহাজ খুঁড়ে বার করলেন। প্রায় ২০০ বছর আগে ব্রিটেনের নৌবাহিনীর এই জাহাজ সমুদ্রযাত্রায় বেরনোর পর নিখোঁজ হয়ে যায়। সম্প্রতি ইউরোপের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল জানিয়েছে, তাঁরা ওই জাহাজের খোঁজ পেয়েছেন।ইউরোপের দেশ লাটভিয়ার রাজধানী রিগার কাছে দাগ্রিভা সৈকতে খোঁজ মিলেছে এই জাহাজের। জাহাজটি বালিয়াড়িতে ডুবে ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

তাঁদের যুক্তি, এই জাহাজটির গভীরে যে বিপুল ইতিহাস সঞ্চিত আছে তা নিয়ে অকারণ তাড়াহুড়ো করলে ক্ষতির আশঙ্কা আছে। জাহাজের ওই ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার নিয়ে ধৈর্য ধরতে চান তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওই জাহাজ এবং সেই সংক্রান্ত ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য এ ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা অবশ্য প্রথমটায় আন্দাজও করতে পারেননি যে; একটি গোটা জাহাজ এ ভাবে বালিয়ারির নীচে ২০০ বছর ধরে ডুবে থাকতে পারে। ধ্বংসাবশেষের একটি অংশ দেখে তাঁরা ভেবেছিলেন সেটি কোনও জাহাজের ভাঙা অংশ।

কিন্তু জাহাজের উপর জমা পুরু বালির চাদর সরাতে গিয়ে দেখা যায় ধ্বংসাবশেষের আকার ক্রমেই বাড়ছে। যেটাকে জাহাজের ভাঙা টুকরো ভাবা হয়েছিল যাকে সেটি ক্রমশই একটি পূর্ণ জাহাজের আকার নিচ্ছে। শেষে দৈর্ঘ্যে ৩৯ ফুট এবং প্রস্থে ১৩ ফুট পর্যন্ত বালির চাদর সরানোর পরও জাহাজের শেষ না দেখতে পাওয়ায় খননের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

কিন্তু জাহাজের উপর জমা পুরু বালির চাদর সরাতে গিয়ে দেখা যায় ধ্বংসাবশেষের আকার ক্রমেই বাড়ছে। যেটাকে জাহাজের ভাঙা টুকরো ভাবা হয়েছিল যাকে সেটি ক্রমশই একটি পূর্ণ জাহাজের আকার নিচ্ছে।

দাগ্রিভার সৈকতে পুরনো জাহাজটির উদ্ধারের দায়িত্বে ছিল লাটভিয়ার ন্যাশনাল কালচারাল হেরিটেজ বোর্ড। তারা ঠিক করে, জাহাজটির যতটুকু অংশ খুঁড়ে বার করা হয়েছে, তা নিয়েই গবেষণা হোক। কোথাকার জাহাজ, কী ভাবেই বা বালিয়ারির নীচে এল তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা শেষে দৈর্ঘ্যে ৩৯ ফুট এবং প্রস্থে ১৩ ফুট পর্যন্ত বালির চাদর সরানোর পরও জাহাজের শেষ না দেখতে পাওয়ায় খননের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন। জাহাজটি ১৮ শতকে তৈরি। সে সময়ে সমুদ্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ছিল ব্রিটেনের নৌবাহিনী। জাহাজটি তৈরির ধরন এবং জাহাজে ব্যবহৃত ধাতু এবং কাঠের ব্যবহার দেখে তা তৈরির সময়কাল সম্পর্কে ধারণা পেয়েছিলেন ইতিহাসবিদরা। লাটভিয়ার ন্যাশনাল কালচারাল হেরিটেজ বোর্ড দাগ্রিভার সৈকতে পুরনো জাহাজটির উদ্ধারের দায়িত্বে ছিল।