সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডি’ভো’র্স না হলেও কাছে পাননি স্বামীকে, ৮২ বছর বয়স হলেও একাই দিন কা’টা’চ্ছে’ন কিংবদন্তি সন্ধ্যা রায়

১৯৬০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সিনেমায় বিশেষ ভাবে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল সন্ধ্যা রায়কে। সুপ্রিয়া দেবী, সুচিত্রা সেনের মতোই প্রথম সারির মধ্যে একজন ছিল সন্ধ্যা রায়‌। শুধুমাত্র নায়িকা নয় উত্তম কুমারের পরবর্তী সময়েও বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমাগুলিকে তাকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে বহুবার। এত সফলতা অর্জন করা সত্ত্বেও তার ছোটবেলা থেকে ব্যক্তিগত জীবন খুব একটা সুখকর ছিল না।

১৯৪১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন নবদ্বীপে, এরপরে তার পুরো পরিবার যায় বাংলাদেশের যশোর জেলায়। সন্ধ্যা রায়ের যখন সাত বছর বয়স এই সময় তিনি তার বাবাকে হারান। এরপর তার যখন নয় বছর বয়সে সেই সময় তিনি মাকেও হারিয়ে ফেলেন। পরে তিনি থাকতেন মামার বাড়িতে, সেখানে চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে তাকে দিন কাটাতে হয়েছিল ।

অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। একটি বস্তিতে শরণার্থী হিসেবে থাকতেন, একদিন তিনি বস্তির মেয়েদের সঙ্গে মামলার ফলে ছবির শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন সেখানেই তার মুখ দেখে পরিচালক পশুপতিনাথ চট্টোপাধ্যায় তাকে পছন্দ করেন এবং একটি ভিড়ের দৃশ্যে তাকে অভিনয় করার সুযোগ দেন।

আরো খবর: মুকেশ আম্বানির প্রতিদিনের কনভয়ের ক’ত খরচ? জানলে ল’জ্জা পাবেন দেশের শীর্ষ নেতানেত্রীরাও

সেটাই ছিল সন্ধ্যা রায়ের জীবনের সফলতার একটি প্রথম পর্যায়ে। এরপর তার বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করার জন্য সুযোগ আসতে থাকে। রক্ত পলাশ ,ভ্রান্তিবিলাস, সূর্যতাপা, পলাতক, সিরাজ পৃথ্বীরাজ, দাদার কীর্তি, বাবা তারকনাথ, গঙ্গা, মায়া, মৃগ, ভগিনী মনিহার ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় ক,রার সুযোগ পান।

বাংলা ছবি ছাড়াও হিন্দি ছবিতে সন্ধ্যা রায় কে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। টলিউডের সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহা ,অর্জুন চৌধুরী এবং তরুণ মজুমদারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছিলেন। এছাড়া তিনি যাত্রা এবং থিয়েটার ও করতেন। ১৯৬৭ সালে সন্ধ্যা রায় এবং বাংলার বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদারের বিয়ে হয়।

বেশ কিছু বছর তাদের সংসার সুখেই কাটে এরপরে উড়িষ্যার অভিনেত্রী মহাশ্বেতা রায়ের সঙ্গে তরুণ মজুমদারের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়, যেটা সন্ধ্যা রায়ের সংসার ভেঙে দেয়।

তবে তাদের মধ্যে আইনি দিচ্ছে যদিও হয়নি এখনো পর্যন্ত। এখনো নিজের স্বামীর নামই তিনি উল্লেখ করেন। তবে সঙ্গী থাকা সত্ত্বেও এত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও ৮২ বছর বয়সেও তিনি একা জীবন কাটাচ্ছেন।