বাঙালির জন্য রয়েছে অনেক বড় একটি সুখবর। বিশেষ করে যাঁরা খাদ্যরসিক বাঙালি তাঁদের জন্য তো বটেই। এই বছর অনেক বছর পর বলা চলে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে পদ্মার ইলিশ। বাজারে গিয়ে মনের মতো ইলিশ অনেকদিন পাওয়া যায়নি, সাইজ এ পেলেও স্বাদে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার বাঙালির মুখে হাসি ফুটেছে। সেই টেস্ট আবারও পাওয়া যাবে বাংলা জুড়ে। বলা হচ্ছে পুজোর উপহার হিসাবেই পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ রাজ্যে পাঠানোর সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর চলাকালীন এপার বাংলায় ইলিশ আমদানিতে দু’দেশের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে এরকম ভাবনা চিন্তা করছেন। এবছরে ২৪৫০ মেট্রিক টন বাংলাদেশী ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় ওই দেশের সরকার।
আর অনুমতি পেতেই মাছ ব্যাবসায়ীরা একেবারেই সময় নষ্ট করেনি। সোমবার রাতেই বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে ঢুকেছে কয়েক টন পদ্মার ইলিশ। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ প্রথমে ২টি ট্রাকে করে ৮ টন ইলিশ ঢোকে। তাই শুধু ক্রেতা নয় বিক্রেতারাও যথেষ্ট খুশি। তারাও এবছর লাভের মুখ দেখবে বলে আশা করি আছেন। কারণ ভালো ইলিশ বাজারে থাকলে সব মাছ ছেড়ে বাঙালি ইলিশই নিতে চাইবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাল তাই রাজ্যে প্রথম পদ্মার ইলিশ ঢুকতেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরাও। রাতেই পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ইলিশ চলে যায় সোজা হাওড়ার মৎস্য আড়তে। প্রথমবারেই ৮ টন ইলিশ ঢোকে। পরে কয়েকবার আরো গাড়ি ইলিশ ঢোকে। টোটাল ২৪৫০ টন ইলিশ ঢুকবে বলে জানা যায়। আর এই হাওড়ার মার্কেট থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশের ইলিশ পাঠাবনো হবে।
আরো পড়ুন: একসময় প্র’চ’ন্ড অ’র্থ’ক’ষ্টে কেটেছে, শ্রমিক থেকে গ্রেট খালি হওয়ার দৌ’ড়ে পেয়েছেন ব’হু বা’ধা
তবে শুধু দুর্গা পূজো নয় তাঁর আগে রয়েছে রান্না পূজা। এই রান্না পূজা ও পরের দিনের অরন্ধন রীতি পালন যারা করেন তাদের এই রান্না পূজায় ইলিশ মাছ একটা অন্য বিশেষত্ব রয়েছে। অনেক দাম হলেও সেদিন ইলিশ কেনে সকলে। আর এই রান্না পুজোর আগেই পদ্মার ইলিশ পাওয়া যাবে এটা আরো বেশি আনন্দজনক প্রতি গৃহস্থদের কাছে।
বাংলাদেশের এক একটি ইলিশের ওজন প্রায় ৭০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি। স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। রান্নাপুজোর আগে পদ্মার ইলিশ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশাবাদী মাছ ব্যবসায়ীরা। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে যাওয়ার একটা আলাদাই তাড়া থাকবে বাঙালির মনে বলাইবাহুল্য।