সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বন্দে ভারত হিট হওয়ার পর এবার বুলেট ট্রেন ছু’ট’বে! কোন রু’টে দৌঁ’ড়া’বে? জেনে নিন

মুম্বাই-আহমেদাবাদ এই দুটি শহরের মধ্যে ভ্রমণের সময় 7 ঘন্টা থেকে মাত্র 2 ঘন্টায় কমিয়ে আনার জন্য হাই স্পীড রেল প্রকল্পটি চালু হতে চলেছে। ভারতের বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি মুম্বাই এবং আহমেদাবাদ শহরের মধ্যে একটি উচ্চ-গতির রেললাইন নির্মাণের জন্য ভারত ও জাপানের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। যার মূল উদ্দেশ্যই হলো আগের তুলনায় সময় কমিয়ে আনা এই দুই শহরের মধ্যে।

সম্প্রতি আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড মুম্বাই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অংশ হিসাবে ন্যাশনাল হাই স্পিড প্রকল্পের অংশ সমুদ্রের তলদেশে 7 কিলোমিটার সহ এই 21-কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল নির্মাণের জন্য দুটি প্রযুক্তিগতভাবে যোগ্য আর্থিক বিড জমা করেছে। মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পীড রেলপ্রকল্প ভারতের পরিবহন সেক্টরের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে চলেছে।

প্রকল্পটি 1.08 লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে করে তৈরি করা হবে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হল প্রস্তাবিত আন্ডারওয়াটার টানেল যা থানে ক্রিকের নীচে তৈরি করা হবে। এই টানেলটি মুম্বইকে ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে।

21 কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি সমুদ্রের 16 মিটার নীচে তৈরি হবে। আন্ডারওয়াটার টানেলটি বুলেট ট্রেন প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে, কারণ এটি মুম্বই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে ভ্রমণের সময় 30 মিনিট পর্যন্ত কমিয়ে দেবে।

আরো খবর: ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ব’ড়ো সি’দ্ধা’ন্ত পরিবহন দপ্তরের, কি করতে হ’বে?

কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে টানেলটি পরিবেশের উপরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, কারণ এটি দুটি শহরের মধ্যে রাস্তার ট্র্যাফিক হ্রাস করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়াও টানেল নির্মাণ যেহেতু একটি জটিল প্রক্রিয়া হবে তার জন্য ভূতত্ত্ব, জলবিদ্যা এবং প্রকৌশল সম্পর্কে গভীর বোঝার প্রয়োজন হবে।

শিল্ড টানেলিং এবং ইমার্সড টিউব পদ্ধতির সমন্বয়ে টানেলটি তৈরি করা হবে। শিল্ড টানেলিং পদ্ধতিতে একটি শিল্ড মেশিন ব্যবহার করে একটি টানেল খনন করা জড়িত যা একই সঙ্গে টানেলের দেয়াল তৈরি করার সময় এগিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ভারতের পরিবহন সেক্টরের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। প্রস্তাবিত আন্ডারওয়াটার টানেল প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং এর সফল নির্মাণ ভারতের জন্য একটি বড় সাফল্য হবে।

টানেলটি শুধু ভ্রমণের সময়ই কমিয়ে দেবে না, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশের ওপরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।