আজকাল মানুষ ভীষণ ফোন অ্যাডিক্টেড। ফোন ছাড়া তাদের যেন এক মুহুর্ত চলে না। হাজার কাজের মাঝেও ফোন চেক তাদের করতেই হবে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফোন চেক করার আসল কারণ হয়ে দাঁড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ছবিতে কত লাইক পড়ল, কেমন কমেন্ট এলো তা দেখার জন্য।
মূলত অবসর সময় কাটাতেই আমরা ফোনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো চেক করি। কিন্তু সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে করা একটি গবেষণায় বলা হয়েছে টাইমপাস হিসেবে উপভোগ্য এই জিনিসগুলিই আমাদের মানসিক চাপ বাড়ায়।
তাই সময় কাটানোর জন্য ব্যবহার করা ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেইল ইত্যাদি চেক করা মোটেই ভালো নয় বলেছেন গবেষকরা। গবেষণাটি করার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে ১২৪ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর নজর রাখা হয়।
তাদের প্রত্যেককে এক সপ্তাহের জন্য দিনে তিনবার ই-মেইল এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় সপ্তাহে সেগুলি চেক করার জন্য তাঁদেরকে ছাড় দেওয়া হয়।
সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, নিষেধাজ্ঞার প্রথম সপ্তাহে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা কম ছিল। মনোবিজ্ঞানী ডাঃ শালিনী অনন্তের বক্তব্য অনুসারে, “প্রায়শই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ই-মেইল চেক করার সময় আমাদের স্ট্রেস লেভেল অনেক বেড়ে যায়, কারণ এটা করার সময় আমরা ভাবতে থাকি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কী আশা করে।”
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল দুনিয়ার লাইককে এতো গুরুত্ব দেওয়া কখনোই উচিত নয়। তাই মনোবিদরা এ প্রসঙ্গে বলছেন অনেক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ লাইক, কমেন্ট নিয়েও নার্ভাস হয়ে পড়েন। এই ধরণের মানসিক চাপ কমাতে ফোনে বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করতে হবে এবং হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ চ্যাট মিউট করতে হবে। আর এর ফলেই মানসিক চাপ অনেক কমবে।