সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দী’র্ঘ ৮ বছরের পরিশ্রম, “ছাই” থেকে পুনরায় “কয়লা” তৈরি করলেন নি’জ’স্ব কায়দায়

খনিজ পদার্থ কয়লা প্রধানত জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর চাহিদাও প্রচুর।আর সেই কারণেই ভারত সহ সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক সম্পদ কয়লার খনন দ্রুত বেড়েই চলেছে। এভাবেই হয়তো একদিন সেই কয়লার ভান্ডার নিঃশেষ হয়ে যাবে।

মূলত জন্মলগ্ন পরিবেশে সুদীর্ঘকাল ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা উদ্ভিদদের কারণে উৎপন্ন হয় কালো বা গাঢ় বাদামী বর্ণের খনিজ পদার্থ কয়লা। কয়লার ভান্ডার নিঃশেষ হয়ে গেলেই ঘনিয়ে আসবে বিপদ।

তাই এমতাবস্থায় বিহারের এক ব্যক্তি এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন। ছাই থেকে তৈরি করে ফেললেন কয়লা, যার কারণে তিনি আজ সারাদেশে জনপ্রিয়। কয়লা পুড়েই তো ছাই উৎপন্ন হয়।

আরো পড়ুন: বিরাট বিমান দু’র্ঘ’ট’না, ১৩৩ যাত্রী নি’য়ে ভে’ঙে পরলো বোয়িং ৭৩৭

কিন্তু ছাই থেকে কয়লা হল কিভাবে? সেক্ষেত্রে বলা যায়, ধানের খড় এবং শুকনো আখের পাতা সংগ্রহ করে তাতে কাঠ-কয়লার ইট মেশানোর পর কয়েক বছর এই মিশ্রণটি মাটিতেই ফেলে রেখে কয়লা তৈরি করা হয়।

কয়লা পোড়ানোর পর যে ছাই পাওয়া যায় তা থেকেই কয়লা উৎপন্ন করে সকলকে চমকে দিলেন বিহারের পশ্চিম চম্পারনে অবস্থিত মাঞ্জারিয়া গ্রামের বাসিন্দা রামেশ্বর কুশওয়াহা।

আজ থেকে নয়, ৮ বছর ধরে তিনি এই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। রামেশ্বর কুশওয়াহা কুন্দিলপুরের প্রাইমারি এগ্রিকালচার সহকারী সমিতির সভাপতি হিসেবে কাজ করা কালীন গ্রামের বাসিন্দারা যাতে কম খরচে রান্নার কাজে কয়লা ব্যবহার করতে পারেন সেই কারণেই ২০১২ সাল ছাই থেকে কিভাবে কয়লা তৈরী করা যায় সেই প্রচেষ্টা শুরু করেন তিনি।

আরো পড়ুন: আধার ও রেশন কা’র্ড এবার ঘরে বসেই লিংক করে নিন, জানুন প’দ্ধ’তি

কয়লা একাধারে যেমন বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর চাহিদা মেটায়, তেমনই কয়লার অতিরিক্ত ব্যবহারে পরিবেশ অতিমাত্রায় দূষিত হয়। এছাড়াও কয়লার ছাই জমিতে সার হিসেবে ব্যবহৃত করলে জমির ফসল দ্বিগুণ বেড়ে উঠবে।

তার এই অভাবনীয় কাজের জন্য রামেশ্বর কুশওয়াহা সাফল্য অর্জন করেছেন এবং সরকারের কাছে প্রশংসিত হয়ে সব ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাকে।