সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আফগান মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বারণ, কিন্তু তা’লি’বা’ন নেতাদের কন্যারা ডাক্তারি পড়ছেন বিদেশে

আফগানিস্তানে চলছে নতুন শাসক তালিবানদের রাজত্ব। গত বছর আগস্ট মাসে তারা আফগানিস্তান পুনর্দখল করে। তবে আফগানিস্তান দখলের পর তালিবানরা জানিয়েছিল, তারা বদলে গিয়েছে। কিন্তু সময় তা বলেনি। যত দিন গেছে তত সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে আফগানিস্তানবাসী।

জেহাদিরা সেই আগের মতোই নিষ্ঠুর রয়েছে। জেহাদিদের রাজত্বে অশিক্ষার অন্ধকার গ্রাস করছে আফগানিস্তানকে। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেহাদি সংগঠনটি।

কর্মক্ষেত্রেও মহিলাদের উপর বাধানিষেধ জারি করা হয়েছে। জেহাদিদের জমানায় সেদেশে নারীশিক্ষা, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলির যে কোনও মূল্য নেই তা স্পষ্ট। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে তাদের শাসনে বিবর্তনের পথে অগ্রসর হতে পারছে না আফগানিস্তান।

আরো পড়ুন: ইচ্ছে করেই তিন তিনবার গ’র্ভ’পা’ত করিয়েছেন এই তারকা দম্পতি, ক’টা’ক্ষে’র শি’কা’র সম্রাট-ময়না

নিজেদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ্যে এনে মহিলাদের অধিকারের দাবিতে মিছিল করা মানবাধিকার রক্ষা কর্মীকে ‘কাফের’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছে জঙ্গিরা। অথচ নিজেদের মেয়েদের দিব্যি বিদেশের স্কুলে পাঠাচ্ছে তালিবরা। সম্প্রতি এক রিপোর্টে আখুন্দজাদার সংগঠনের এহেন দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এসেছে।

জানা গিয়েছে, অন্তত একডজন তালিবান নেতার মেয়েরা বিদেশের স্কুলে পড়ছে। সেখানে আর পাঁচটা সাধারণ পড়ুয়ার মতোই রুটিন মেনে চলছে তারা। খেলাধুলো, এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছে তারা।

‘ইসলামের অবমাননা’ নিয়ে তারা ভাবে পর্যন্ত না, অন্যদিকে আফগানিস্তানে সেই ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির পর আর স্কুলে আসার কোনো অনুমতি মেলে না। আর এহেন দ্বিচারিতার কারণে সমালোচিত হতে হচ্ছে হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদার দলকে। যদিও, সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই তালিবানদের।

সূত্রের খবর, তালিবান সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কলন্দর এবাদ, উপ বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইর মেয়েরা বিদেশের স্কুলে শিক্ষারত। জানা গেছে যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কলন্দর এবাদের কন্যা একজন চিকিৎসক। নানগরহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভরতি হন তিনি।

আরো পড়ুন: রণবীর-আলিয়ার বি’য়ে’র আসর এবার কলকাতায়! দা’য়ি’ত্ব পা’ল’ন করলেন পরিচালক শিবপ্রসাদ

বর্তমানে ইসলামবাদে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত কলন্দর এবাদের কন্যা। এদিকে, স্তানিকজাইর কন্যা দোহা থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন বলে খবর। এমনকি তালিবানের মুখপাত্র সোহেল শাহিনের শাহিনের দুই মেয়ে ও তিন ছেলে দোহার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে। শুধু তাই নয়, শাহিনের বড় মেয়ে স্কুলের ফুটবল ক্যাপ্টেন। দোহায় রয়েছে তালিবানের বা ইসলামিক আমিরশাহীর রাজনৈতিক দপ্তর।

গত মার্চ মাসে আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য স্কুল খোলা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জোরজবরদস্তি করে স্কুল বন্ধ করে দেয় তালিবান। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাষ্ট্রসংঘ (United Nations) বিবৃতি দেয়।

দেশের প্রত্যেক শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষার অধিকার আছে, তাই সেই অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে তালিবানকে। কিন্তু জেহাদিদের আমলে আবারও প্রস্তরযুগে ফিরে গিয়েছে ষাটের দশকের সেই আধুনিক আফগানিস্তান। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চের কোনোপ্রকার হুঁশিয়ারি বা আবেদন তালিবানরা কানেই তোলে না।