মানুষের ভবিষ্যৎ কতটা ভালো হবে তা নির্ভর করে তার কর্মের উপর। আর বাকিটা তো ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতেই হয়। আর ভাগ্য তো নিজে নিজে বদলায় না, তার জন্যও করতে হয় কঠোর পরিশ্রম। পৃথিবীতে তো সবাই ধনী হতে চায়। সবাই চায় একটি সুন্দর, সচ্ছল ও বিলাসময় জীবন কাটাতে। তার জন্য মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রমও করে। কেউ সৎ পথে সারাজীবন খেটে মরে, আবার কেউ অসৎ পথ বেছে নেয় সহজে সচ্ছল জীবন পাওয়ার আশায়। যাক সেসব অন্য ব্যাপার। কেউ কেউ সফল হন, আর অনেকেই ব্যর্থ থেকে যান।
সমুদ্রশাস্ত্র বলছে, পরিশ্রম তো করবেনই কিন্তু ভাগ্য বা ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার মতো কিছু বিষয় মানুষ জন্মগত ভাবে নিজের মধ্যে পেয়ে থাকে। তার একটি হল তিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তিলের অবস্থান ভাগ্য বা ভবিষ্যত সম্পর্কে শুভ-অশুভ নানা বিষয়কে ইঙ্গিত করে। শুধু তার অর্থ বুঝে নিতে হবে।
শরীরের কোথায় তিল থাকলে কী হয় তা জানেন কী! তিলতত্ত্বের মতে, শরীরের তিল দেখেই বোঝা যায় আপনার ভাগ্যে কি আছে? শরীরে কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে তিল থাকা মানেই তা ধনী হওয়ার বড়ো লক্ষণ। কোথায় কোথায় তিল থাকলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন প্রচুর ধনসম্পত্তির অধিকারী তা নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে।
১) নাভির আশেপাশে বা চিবুকে তিল থাকলে বুঝতে হবে তাদের ধনী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
২) বুকে তিল থাকলে সেই নারী বা পুরুষ সহজেই ধনী হন। পাশাপাশি এরা খুবই শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করেন।
৩) কানের আশেপাশে যদি তিল থাকে ধনী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
৪) ঠোঁটের ঠিক ওপরেই তিল থাকলে সেই ব্যক্তিরা একটু জেদি স্বভাবের হয়ে থাকেন। এই স্থানে তিল থাকা মানে বুঝতে হবে খুব অল্প বয়সেই ধন-সম্পদের অধিকারী হয়ে উঠবেন সেই নারী বা পুরুষ।
৫) যদি কোনো ব্যক্তির ডান হাতের চেটোতে তিল থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি খুব অল্প বয়স থেকেই সম্পত্তির অধিকারী হন। ফলে সহজেই ধনী হয়ে ওঠেন।
৬) যাদের কোমরে তিল থাকে তাদের সম্পত্তি দিন দিন বাড়তে থাকে।
৭) সমুদ্রশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাকের ডানদিকে যে মানুষটির তিল থাকে তারও ধনী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। ৩০ বছর বয়স থেকেই এরা সাফল্য অর্জন করতে শুরু করেন।
৮) সমুদ্রশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে বিয়ের পর অনেকের ভাগ্য পাল্টে যায়। এমন অনেকেই আছেন যারা বিয়ের পর প্রচুর সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
৯) শরীরের কোনো স্থানে গাঢ় রঙের ও ছোট্ট আকারের তিল থাকলে, সেই নারী বা পুরুষের বিয়ের পর ধনী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
