লোহার বিদ্যুতের খুঁটির উপর জট পেকে আছে তার। সার্ভিসিং করার কোন ব্যবস্থা নেই। যে কারণে প্রায় প্রতিদিনই আট-দশটা করে পাখির মৃত্যু হচ্ছে রায়গঞ্জে। বিদ্যুতের খুঁটির ওপর বসলেই ছটফট করে মারা যাচ্ছে পাখিগুলি। লুটিয়ে পড়ছে রাস্তার উপর। চলমান রাস্তার গাড়িতে পিষে রাস্তার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে পাখিদের শরীর।
প্রতিনিয়ত এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের। স্থানীয় দোকানদারদের সামনে নিত্যদিন যে ঘটনা ঘটে চলেছে তা কার্যত শিউরে ওঠার মতো। পশুপ্রেমী সংগঠনগুলিও এই বিষয় নিয়ে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয়দের অনুমান ওই বৈদ্যুতিক তারের মাঝে বাসা বানাতে গিয়ে বিদ্যুৎপিষ্ট হচ্ছে পাখিরা। হাইভোল্টেজ তারের শক লেগে ঘটে যাচ্ছে বিপত্তি। অনেক সময় ছোট পটকি ফাটলে যেমন শব্দ হয় তেমন শব্দও পাচ্ছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন পুজোর ছুটি পেয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের একাধিক কর্মী বাড়ি চলে গিয়েছেন। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে এইভাবে প্রতিদিন নিরীহ প্রাণ চলে যাওয়াটাও মর্মান্তিক। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে।