চীন সর্বদা অন্যদেশের জমি অধিগ্রহণে ব্যাস্ত। এমনকি রাশিয়ার সাথেও চীনের সীমান্ত নিয়ে বিবাধ রয়েছে। ১৯৫৯ সালে চীন তিব্বত অধিগ্রহণ করে নেয়। ভারত, তাইওয়ানের সাথেও সীমান্ত বিবাদ রয়েছে চীনের। ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী স্থানে তিব্বতী সভ্যতার বিস্তার ঘটে। তিব্বত মালভূমির পূর্বে অবস্থিত পর্বতশ্রেণীগুলি তিব্বত ও চীনের মাঝে সীমান্ত হিসেবে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে হিমালয়ের সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী ভারত ও নেপাল থেকে তিব্বতকে পৃথক করে রেখেছে। তিব্বত হল বৌদ্ধ ধর্মের পিঠস্থান। ১৯৫৯ সালে চীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিদের স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়। এরপর দলাই লামা সহ অসংখ্য তিব্বতি ভারত সরকারের আশ্রয় গ্রহণ করে এবং হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসবাস আরম্ভ করেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বরাবরই তিব্বতে বসবাসকারী বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার চালায়।তাদের স্বাধীনতার দাবির আন্দোলনকে কঠোর ভাবে দমন করে।এইসব ঘটনার প্রতিবাদে ভারত ও নেপালে বসবাসকারী তিব্বতিরা ‘তিব্বত যুব কংগ্রেস’ নামের একটি মঞ্চ তৈরি করেছে।
এই মঞ্চের ৮৭ জন সদস্য গত ২৭ এপ্রিল সিকিম থেকে অসমের তেজপুর পর্যন্ত একমাস ব্যাপী এক প্রতিবাদ পদযাত্রা শুরু করেছেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য হল চিনা আগ্রাসনের এই বিষয়টি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ সম্মেলনে উত্থাপন করা।
এই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে তাঁরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছেন।