সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ইউক্রেনের পরমাণু কে’ন্দ্রে ফের মিসাইল অ্যা’টা’ক, ব’ড়ো দু’র্ঘ’ট’না ঘটতে পা’রে যেকোন সময়

ফের ইউক্রেনে পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলা হলো। যেকোনো মুহূর্তে চিরনবিল দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবার আসলে নেমেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান অ্যান্টিরিও গুতেরেস। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।

প্রায় পাঁচ মাস লড়াই করার পর প্রাক্তন সোভিয়েত সদস্য দেশটির একটি বিশেষ এলাকা দখল করেছে রুশ সেনাবাহিনী।ইউক্রেন এবং ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রটিও নিয়ন্ত্রণ এখন পুতিন বাহিনীর হাতে। স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকা ঘিরে দুই পক্ষের লড়াই চলছে তীব্র। রয়টার সূত্রে খবর, গত শনিবার পারমাণবিক কেন্দ্র টিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে।

এরপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রটির তিনটি রেডিয়েশন সেন্সর, আহত হয়েছেন এক কর্মী। রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের দাবি, পারমাণবিক কেন্দ্রে রকেট লঞ্চার নিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন বাহিনী। এতে কেন্দ্রটির একটি বিল্ডিং এবং আণবিক জ্বালানির রাখার একটি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: এক মিনিটেই বু’ক করতে হ’বে ট্রেনের টিকিট, ব’ড়ো ত’থ্য দি’লো ভারতীয় রেল

এদিকে এই হামলার নেপথে রাশিয়া রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। রবিবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, আণবিক সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে চাইছে সেনা। একই সঙ্গে মস্কর পরমাণু প্রকল্পের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, পরমাণু কেন্দ্রে যেভাবে পরপর মিসাইল হামলা হচ্ছে তাতে যে কোন সময় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে হিরোশিমা এবং নাগাসাকির এই দৃশ্য আরো একবার ইউক্রেনের বুকে ফুটে উঠতে পারে। এখানে পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান বলেছেন, আণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানো আত্মহত্যার সমান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা বন্ধ করতে হবে।