দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য উত্তরাখন্ড। দিনদিন উত্তরাখণ্ডে বিপদ বেড়েই চলেছে। শুক্রবার বিকেলে উত্তরাখণ্ডের যোশী মঠের একটি মন্দির ভেঙে পড়ে। এর পরেই সেখানকার বাসিন্দাদের সরাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমে পড়ে উত্তরাখণ্ড সরকার।
শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ৬০০ টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের নিরাপদ স্থানে সরাতে হবে বলে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ফাটলগ্রস্ত বাড়িগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, হোটেলে।
শনিবার যোশী মঠে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন তিনি। ভাঙ্গনরূখতে নানান দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে স্বচক্ষে ৫৬১ টি বাড়িতে ঘুরে দেখবেন তিনি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কার্য।
আরো খবর: Royal Enfield একদম প’ছ’ন্দ করেন না তিনি! রাহুল গান্ধীর ভালোবাসার বাইক ইতালির এই মোটরসাইকেল
প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। দুটি সেক্টরে ভাগ করে অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করবার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইতিমধ্যে হাহাকার পড়ে গিয়েছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
যদিও এই অবস্থায় সরকার তাদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া কিছুটা বোধ করছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে জানা গিয়েছে নদী ভাঙনের ফলেই পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই বিপর্যয় আধার ঘনিয়ে এসেছে উত্তরাখণ্ডে।