বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই কয়েকদিন আগেই দূর্গাপুজা শেষ হয়েছে। সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি আসতে চলেছে। আর কয়েকমাস পরেই এই বছর শেষ হয়ে যাবে। আর তার পরেই যে উৎসবটি নিয়ে বাঙালি অবাঙালি সবারই অনেক প্ল্যান থাকে তা হলো হোলি বা বসন্ত উৎসব। রঙের উৎসব হোলি ঠিক কবে হতে চলেছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ ৷ হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে হোলি ৭ মার্চ ২০২৩-এ ৷
তবে এটিকে হোলিকা বলা হয় অর্থাৎ বুড়ির ঘর পোড়ানোর দিনও বলা হয়ে থাকে ৷ বাঙালিরা যেটাকে বুড়ি পোড়ানো বলে অবাঙ্গলিরা সেটাকেই হোলিকা দহন বলে। এই বছর ৭ মার্চ শনিবার হোলিকা দহন এই শুভ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে ৬ মার্চ ২০২২, বিকেল ৪.১৭ থেকে শুরু হচ্ছে, পূর্ণিমা কেটে যাচ্ছে ৭ মার্চ ২০২৩, সন্ধে ৬.০৯-এ।
মাত্র ২৭ মিনিটের জন্য এই হলিকা দহনের শুভ সময় ঘোষিত হয়েছে। মূলত ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রঙের উৎসব দোল বা বসন্তোৎসব পালিত হয়ে থাকে ৷ ঠিক তারপরের দিনই অবাঙালিরা হোলির উৎসব পালন করেন। আর এই হোলিকা দহন অবাঙালিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: TET: কবে হবে নি’য়ো’গ? কি ঘো’ষ’ণা করলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ?
এই সব নিয়ম মেনে পালিত হয় রঙের উৎসব। বিশেষ করে শান্তিনিকেতনে দেখা যায় রঙের উৎসব পালনের বিশেষ আয়োজন। হাজার হাজার লোক ভিড় জমায় ওইদিন বোলপুরে। নাচের, গানের মধ্য দিয়ে পালন হয় দোল উৎসব। অবাঙালিরা কৃষ্ণের পায়ে আবির দিয়ে শুরু করেন হোলি।
তারা মনে করেন শ্রী কৃষ্ণ এই উৎসব শুরু করেছিলেন। এর মাধ্যমে বৈষম্য ভেঙে সকলে মিলে আনন্দ করার জন্যই মনেও একই রকম রং লাগানোর জন্যই পালিত হয়েছিল হলি। তাই তারাও ভগবান কৃষ্ণর পায়ে আবির দিয়ে এই দিনটি খুব ধুম ধাম করে পালন করেন।