প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনেক কোর্ট কাছারি, মামলা হওয়ার পর শেষ অবধি বৈঠক করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই কথাই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মাধ্যমে ঘোষণা করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান এই বছরের মধ্যেই টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হবে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের সকল টেট পরীক্ষার উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে আবেদন করতেও বলেন গৌতম বাবু।
যারা নতুন টেট দেবেন তারা আবেদন করবেন ১৪ই অক্টোবর থেকে। যারা টেট পাশ করে আছেন তারা নিয়োগের জন্য আবেদন করবেন ২১ শে অক্টোবর থেকে। মোট ১১ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। তেমন বিজ্ঞপ্তিই বেরিয়েছে আজ ডাব্লিউবিবিপিই তরফ থেকে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর টেট পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা হতে হবে –
ক্লাস I-V কমপক্ষে 50% নম্বর সহ সিনিয়র মাধ্যমিক (বা এর সমতুল্য) এবং প্রাথমিক শিক্ষায় 2 বছরের ডিপ্লোমা (যে নামেই পরিচিত) অথবা কমপক্ষে ৫০% নম্বর সহ সিনিয়র মাধ্যমিক (বা এর সমতুল্য) এবং প্রাথমিক শিক্ষার 4 বছরের স্নাতক ( বি এড) অথবা কমপক্ষে 50% নম্বর সহ সিনিয়র সেকেন্ডারি (বা এর সমতুল্য) এবং ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (বিশেষ শিক্ষা), রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (R.C.I.) দ্বারা স্বীকৃত একটি কোর্সও বিবেচনা করা হবে।
এছড়াও টেটে বি.এড (২০২২-২৪) এবং ডিএলএড (২২-২৪)এ ট্রেনিং নিচ্ছেন এমন ছাত্র ছাত্রীরাও বসতে পারবেন। গ্রাজুয়েশনের ক্ষেত্রে ৫০%(UR) ও ৪৫%(R) নম্বর থাকতে হবে। এছাড়াও রয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ৫% এর শিথিলতা। অর্থাৎ ৪৫% নম্বর নিয়ে আবেদন করতে পারেন এরা। ডি এল. ড বা ডি. এড যারা করেছেন তারাও আবেদন করতে পারবেন।
প্রথম ভাষা : আবেদনকারীদের প্রথম ভাষা হিসাবে নিম্নলিখিত ভাষার যেকোন একটি বেছে নিতে হবে: বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি, ওড়িয়া এবং তেলেগু। পছন্দ হবে স্কুলে শিক্ষার মাধ্যমের ভিত্তিতে।
দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি এটা সবার জন্যই থাকবে। এছাড়াও আরো অনেক নিয়ম থাকছে যা ডাব্লিউবিবিপিই – এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেওয়া যাবে।