ভোজ্য তেল আমাদের জীবনের খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। রান্না করা মানেই সেটার প্রয়োজন। কিন্তু এই ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা খুব সমস্যার হয়ে পড়ছিলো। কেন্দ্র সরকার সেই দাম কিছুটা কমাতেও সফল হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তেলের কোম্পানি গুলো তেলের দাম অনুযায়ী সঠিক ওজন সহ তেল দিচ্ছেন না। আর এই ব্যাপারেই কড়া হয়েছে সরকার। তাতে সাধারণ মানুষের একটু লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারক সংস্থা, আমদানিকারকদের এক নয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্যাকেট করার সময় নেট কোয়ান্টিটি বা মূল পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। তাপমাত্রা ছাড়াই মূল পরিমাণ কতটা রয়েছে তা লেবেলের উপর জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তাপমাত্রা অনুযায়ী তেলের ওজন নানা রকম হয়ে থাকে।
দেখা গিয়েছে, তেল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এতদিন তাঁদের ভোজ্য তেলের প্যাকেটের নিট পরিমাণ ঘোষণা করত আয়তনের সঙ্গে প্যাকেটজাত করার সময়ের তাপমাত্রা উল্লেখ করে। এরফলে দেখা যেত, বিভিন্ন তাপমাত্রায় ভরের হেরফের ঘটছে। যেমন 1 লিটার সয়াবিন ভোজ্য তেলের ওজন বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্ন হতে পারে।
আরো পড়ুন: এবার বি’পা’কে পড়তে পারেন আরো চাকরিপ্রার্থীরা, যে’তে পা’রে চাকরি!
যেমন – ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওজন দাঁড়ায় ৯১৯.১ গ্রাম; ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেটি হয় ৯১৩.০ গ্রাম; ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ,৯০৬.২ গ্রাম; ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৮৯৯.৪ গ্রাম আবার ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেই ওজনই দাঁড়ায় ৮৯২.৬ গ্রাম। তাই সরকার থেকে বলা হয়েছে যে তাপমাত্রা ছাড়াই নিট ওজন প্যাকেটের গায়ে লিখতে হবে।
তবে এখন থেকেই অবশ্য এই নিয়ম লাগু হচ্ছে না। কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের প্যাকেটের লেবেলে এই ঘোষণা লিখিতভাবে জানাতে হবে। পিআইবি- এর বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, লিগ্যাল মেট্রোলজি (প্যাকেজড কমোডিটিজ) ২০১১ -এর আওতায় গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষায় প্যাকেটজাত সমস্ত পণ্যে ওজন ও নিট পরিমাণ জানানো বাধ্যতামূলক।