সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার বি’পা’কে পড়তে পারেন আরো চাকরিপ্রার্থীরা, যে’তে পা’রে চাকরি!

এসএসসি নিয়োগের দূর্নীতি মামলায় একের পর এক উঠে আসছে অভিযুক্তদের নাম। কিভাবে এত বড় ষড়যন্ত্র চলত সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আস্তে আস্তে সামনে আছে সবটা। সিবিআই কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। কেঁচো খুঁড়তে খুঁড়তে কেউটে বের করেই ছাড়বে সিবিআই। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে এখন জেলে বন্দী। আর এর মধ্যেই উঠে এলো আরো একজনের নাম। জানা যাচ্ছে তিনি ‘মিডলম্যানের’ কাজ করতেন।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ সিংহ।  ধৃত ‘মিডলম্যান’-কে জেরা করে নতুন অনেক তথ্য মিলেছে। অ্যাডমিট কার্ডের নম্বর ধরে ধরে এবার অযোগ্য প্রার্থীদের খোঁজে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, এই প্রদীপ সিংহ চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক অনেক টাকা নিয়েছেন তিনি। তাদের চাকরি পাইয়েও দিয়েছেন। কিন্তু কিভাবে পাওয়াতেন তিনি সেই চাকরি , কার সাথে যোগাযোগ ছিল তাঁর।

সব কিছুই সিবিআই মারফত জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার তার সল্টলেকের অফিসে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চলে টানা তল্লাশী। জিডি ব্লকের ২৫৩ নং বাড়ি যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্ত সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই অফিসে আসতেন প্রদীপ সিং। আর সেখান থেকেই এসব কাজকর্ম চালাতেন তিনি। সিবিআই আইনজীবী সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, প্রদীপ মিডলম্যানের কাজে ছিলেন। আসল মাথা অন্য কেউ।

আরো পড়ুন: বাবা-মেয়ে দুজনে মি’লে আমার কেরিয়ার ধ্বং’স করে দিয়েছে, ভাট পরিবারের উপর ক্ষো’ভ উ’গ’ড়ে দিলেন রণবীর

অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগ করতেন প্রদীপ। অনেকগুলি ইমেল আইডি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। কার কথায় তালিকা তৈরি করা হত ? কে নির্দেশ দিতেন ? আর কারা কারা যুক্ত রয়েছেন ? তা খতিয়ে দেখতে হবে।

প্রদীপের সঙ্গে কথা হয়েছে, এরকম ৫ টি ফোন নাম্বার পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় – এর বাড়ির কাছাকাছি একটা কম্পিউটার সেট অ্যাপ ও পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যেমন ইমেল আইডি, যোগ্য নয় এমন প্রার্থীদের নামের তালিকা ও ফোন নাম্বার।

এই এত কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপ সিংহকে। সিবিআই তরফ থেকে আশা করছেন যে এই প্রদীপ সিংহর থেকে আরো অনেক কিছু তথ্য জানা যেতে পারে। যাতে করে আসল মাথাকে ধরা যায়। তাই এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন সিবিআই অধাকারিকরা। তাই মনে করা হচ্ছে আরো বেশ কিছু শিক্ষকের চাকরি যেতে চলেছে। যাদের নাম এই অযোগ্য পার্থীদের তালিকায় পাওয়া গিয়েছে।