অসমের নগাঁও জেলায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। সেই রাগে থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা।
তারপরেই আগুন লাগানোর ঘটনায় অসমের নগাঁও জেলায় অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বাটাদ্রবা থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকার সময়ে মৃত্যু হয় সফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির।
মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, পুলিশের চাহিদা মতো ঘুষ দিতে পারেননি বলেই তাঁকে থানা থেকে ছাড়া হয়নি। পরের দিন ঘুষের টাকা নিয়ে সফিকুলের স্ত্রী থানায় যান। কিন্তু তাঁকে জানানো হয়, সফিকুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে সফিকুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর স্ত্রী।
তবে অসম পুলিশের প্রধান ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত সেই দাবি খারিজ করে জানিয়েছেন, অত্যধিক মদ্যপানের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। সফিকুলের মৃত্যুর পরেই থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের হেনস্তা করেন তাঁরা, এমন অভিযোগ ওঠে।
তারপরে থানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার এই ঘটনায় আহত হন তিন পুলিশকর্মী। থানায় আগুন লাগানোর অভিযোগে ২১ জনকে আটক করা হয়। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, উত্তেজনার বশে এই ঘটনা ঘটেনি।
Assam | Nagaon District Administration demolished houses of five families who were allegedly involved in setting fire to Batadraba Police Station yesterday, May 21 pic.twitter.com/N0u9xMg0ZW
— ANI (@ANI) May 22, 2022
পরিকল্পিতভাবে থানায় আগুন লাগানো হয়েছে। অভিযুক্তদের অনেকেরই অতীতে ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে। এরা মৃত ব্যক্তির আত্মীয় নয়। রবিবার সকালে বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ।
Action and Reaction
— Divyanshu Arya 🇮🇳 (@DivyanshuAryaD1) May 22, 2022
বেছে বেছে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই বাড়িগুলি বেআইনি ভাবে তৈরি হয়েছিল বলেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, আইন মেনেই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল।