সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই ছোট্ট আ’কৃ’তির ব্যাঙ একবারে ১০ মানুষকে মে’রে ফে’ল’তে পারে! ছুঁলেই শ’রী’রে ঢু’ক’বে বি’ষ

এই পৃথিবীতে কত রকমের যে প্রাণী আছে তা বোঝা কারো সাধ্য নয়। আমরা এমন অনেক প্রাণীকেই চিনি না যা গভীর জঙ্গলে গেলে দেখা যায়। এই প্রাণী গুলি কখনো মানুষের অনেক উপকারে আসে কখনো আবার ক্ষতিকারকও হয়। আর আজকের প্রতিবেদনে তেমন একটি প্রাণী নিয়েই আলোচনা করবো যে প্রাণীর একজনের বিষেই দশটা মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

আমরা বাড়ির আসে পাশে ব্যাঙ প্রায়ই দেখে থাকি। আর এদের নিয়ে আমরা কখনো ভয় পাই না। কিন্তু কলম্বিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে রেইন ফরেস্টের একটি ছোট প্লটের মধ্যে বাস করে এক ধরনের ব্যাঙ। এদের গোল্ডেন পয়জনাস ফ্রগ বলা হয়ে থাকে। এই প্রজাতির ব্যাঙ গুলি দেখতে ঠিক যতোটা সুন্দর হয় ঠিক ততোটাই মারাত্মকও হয়। মূলত এই ব্যাঙগুলি দুই ইঞ্চির বা তার থেকে সামান্য কিছুটা বড় বা ছোট হয়। এই ব্যাঙের রং হলুদ, কমলা বা হালকা সবুজ হতে পারে।

ভিন্ন ভিন্ন জায়গা অনুযায়ী এদের রংও ভিন্ন হয়। কিন্তু মারাত্মক দিকটি হল, এরা ভীষন বিষাক্ত হয়। এরা নিজেদেরকে প্রোটেক্ট করার জন্য নিজেদের গায়ের চামড়া দিয়ে বিষ নিঃসরণ করতে পারে। সেই বিষ সরাসরি মানুষের ত্বকে লেগে গেলেই তার ভয়ঙ্কর প্রভাব শুরু হয়। নাড়ি সঙ্কুচিত হতে শুরু করে, এমনকি কিছু সময় পরে ব্যক্তি মারাও যেতে পারে।আর এই বিষয়টা জানার পরেই কলম্বিয়ার শিকারী মানুষজন বহু শতাব্দী ধরে এই ধরনের ব্যাঙের বিষ ব্যবহার করে শিকার ধরে থাকে।

আরো পড়ুন: আশিকি-র নায়িকা অনু আগরওয়াল এখন কো’থা’য়? তাকে বর্তমানে কেমন দে’খ’তে?

এই প্রজাতির ব্যাঙ গুলি রেইন ফরেস্টে থাকে। এই ব্যাঙগুলি ছোট্ট ছোট্ট এলাকায় বিপুল পরিমাণে থাকতে পারে। তবে রেইনফরেস্ট ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্যাঙের অস্তিত্বও বিলীন হওয়ার পথে। কিন্তু এরা এত বিষাক্ত হয় কি করে নিশ্চই প্রশ্ন জাগছে তো। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন এরা সাধারণত মশা মাছি, উইপোকা, বিষাক্ত পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে বলেই এরা এত বিষাক্ত হয় বলে মনে করা হয়।

এছাড়াও চিকিৎসা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই প্রজাতির ব্যাঙগুলিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, এই ব্যাঙ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শক্তিশালী পেইন কিলার তৈরির চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।