দেশজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির প্রকোপ বাড়ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে জরুরি কৃষি পণ্যের উপর আমদানি-রপ্তানিতে লাগাম টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের মার্কেট রেগুলেটরের পক্ষ থেকে এক বছরের জন্য লাগাম টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে গম এবং চালের রপ্তানিতে লাগাম জারি করেছে ভারত সরকার।
সারা দেশজুড়ে যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাবারের দাম। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে। একটি দেশ যখন অপর একটি দেশকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পণ্য সামগ্রী প্রদান করে তখন তাকে বলা হয় ফিউচার ট্রেডিং। নির্দিষ্ট সময়ের নিরিখে এই রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
অনেক ক্ষেত্রে আবার আমদানি এবং রপ্তানির কাজ একসঙ্গে করে নেওয়া হয়। ভারত যদি আমেরিকাকে ধান রপ্তানি করে তাহলে আমেরিকাও ভারতকে পাল্টা কিছু একটা রপ্তানি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে ভারত ভোজ্য তেল আমদানিতে সবার শীর্ষে রয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতি হবে ভারতের। এমনটা মত বিশেষজ্ঞদের। সংসদে এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমশ বাড়ছে। বেশি মুদ্রাস্ফীতির হার 3 মাসে সর্বোচ্চ 4.91 শতাংশ ছুঁয়ে ফেলেছে। এক্সাইজ ডিউটিতে ছাড় দেওয়ার পর মুদ্রাস্ফীতিতে কোনও বদল আসেনি। পাইকারি দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি 14% গিয়ে ঠেকেছে।