সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জিওম্যাগনেটিক ঝ’ড় ধে’য়ে আসছে সূর্য থে’কে! আজই পৃথিবীতে খে’তে পা’রে ধা’ক্কা!

আবারও সূর্যে শক্তিশালী বিস্ফোরণের কারণে পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে পারে বিপদ। এক সপ্তাহ আগে যেভাবে পৃথিবীতে এক মাঝারি মাপের জিওম্যাগনেটিক ঝড় আঘাত করেছিল, ঠিক সেভাবেই আবারও এক ভূ চৌম্বকীয় ঝড় ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। সূর্যের ইতিমধ্যেই এক ফিলামেন্ট বিস্ফোরণ ৯ থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আঘাত হানবে এবং আরেকটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সূত্রপাত করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আবারও সূর্যে শক্তিশালী বিস্ফোরণের কারণে পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে পারে বিপদ। এক সপ্তাহ আগে যেভাবে পৃথিবীতে এক মাঝারি মাপের জিওম্যাগনেটিক ঝড় আঘাত করেছিল, ঠিক সেভাবেই আবারও এক ভূ চৌম্বকীয় ঝড় ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। সূর্যের ইতিমধ্যেই এক ফিলামেন্ট বিস্ফোরণ ৯ থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আঘাত হানবে এবং আরেকটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সূত্রপাত করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

জিও ম্যাগনেটিক ঝড় কি? ভূ -চৌম্বকীয় ঝড় বা সৌর ঝড় হল একটি ‘স্পেস ওয়েদার’ সম্পর্কিত ঘটনা, যেখানে সূর্য থেকে বেশি মাত্রায় চুম্বকীকৃত কণা বের হয়। সূর্য থেকে করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) হয়।

ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলোকে ১-৫ স্কেলে পরিমাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে।জিও ম্যাগনেটিক ঝড় পৃথিবীতে আঘাত করলে কী হয়? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীকে সাধারণত এই ধরণের কণার স্রোত থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে কণাগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সংস্পর্শে আসলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এর ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আরো পড়ুন: প্রায়ই সংশোধন ক’রা হ’চ্ছে জ্বালানির দা’ম, আজ ক’তো দা’ম কলকাতায়?

প্রযুক্তিক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ক্ষতি হতে পারে স্যাটেলাইটগত প্রযুক্তির। জিও ম্যাগনেটিক ঝড়ের মতো ঘটনাগুলি চমকপ্রদ অরোরা দিয়ে আকাশকে আলোকিত করতে পারে। কিন্তু এই অরোরা ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক গ্রিড এবং স্যাটেলাইট এবং রেডিও যোগাযোগেরও যথেষ্ট ক্ষতি করে।

এবারে প্রতি ঘন্টায় ২১,৬০,০০০ কিলোমিটার বেগে যাওয়া উপাদানগুলি পৃথিবীতে প্রভাব ফেলবে। মাঝারি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সম্ভাবনা থাকার কারণে প্রভাবটি খুব বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনটাই মত Indian Institute of Science Education and Research এর আওতাধীন মহাকাশ বিজ্ঞানের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স(CESS) এর।

আরো পড়ুন: প্রশান্ত কিশোর ৫ লক্ষ চেয়েছিলেন, এখন ১০ লক্ষ টাকাতেই টিকিট বি’ক্রি হচ্ছে! অভিযোগ তৃণমূল নেতার

CESS একটি টুইটে বলেছে করোনাল ম্যাস ইজেকশনস (সিএমই) হল সূর্যের করোনা থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের বড় নির্গমন। তারা ২৫০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডের (কিমি/সেকেন্ড) থেকে ধীর গতিতে ৩০০০ কিমি/সেকেন্ডের মতো দ্রুত গতিতে সূর্য থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসা কোটি কোটি টন করোনাল উপাদান বের করতে পারে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, সিএমই আগামী ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে।