নাসা থেকে এল পৃথিবীর সম্পর্কে একটি বড়সড় আপডেট। নাসা জানিয়েছে একটি বড় রকমের সান স্পট নজরে এসেছে তাদের। সান স্পটটি পৃথিবীর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সে ব্যাপারে এখন নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিশাল একটি সৌর শিখা পৃথিবীর দিকে তুমুল বেগে ছুটে আসছে এবং এই শিখাটা শনিবার পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে এর ফলে বড় ক্ষতি হতে পারে বলেই মনে করছে নাসা।
এই বিষয়ে সৌর শিখা পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ায় বিশ্বের জিপিএস সিস্টেমে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাসা থেকে জানানো হয়েছে এই সান স্পটটি বর্তমানে সূর্যের কেন্দ্র এবং পৃথিবীর মুখোমুখি জায়গাতে রয়েছে। এই গোটা ব্যাপারটি নাসার তরফ থেকে একটি টুইটের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সূর্যের এই বড় শিখাটিকে নাসা এফআইয়ের শ্রেণীভূক্ত করেছে।
নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার এই সৌর শিখাটি পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়লে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে। এস ডব্লিউপিসির অনুসারে এই এক্স ওয়ান প্রকারের সৌর শিখাটি দক্ষিণ আমেরিকা কেন্দ্রিক এলাকাতে অবস্থায় রয়েছে কিন্তু এর ফলে শক্তিশালী রেডিওতে ব্ল্যাকআউট তৈরি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
POW! The Sun just served up a powerful flare! ☀️ 💥
At 11:35 a.m. EDT today, a powerful X1-class solar flare erupted from the Sun. NASA’s Solar Dynamics Observatory caught it all on camera. 📸
More on our Solar Cycle 25 blog: https://t.co/L5yS3hJRTx pic.twitter.com/iTwZZ7tCOY
— NASA Sun & Space (@NASASun) October 28, 2021
আরও জানানো হয়েছে যে, এর ফলে সোলার প্লেয়ার প্লাজমায় হতে পারে বড়োসড়ো রকমের কোন সুনামি। এই প্লাজমা তরঙ্গটি এক লক্ষ কিমি প্রায় লম্বা ছিল এবং যেটি সূর্যের বায়ুমন্ডলের মধ্যে থেকে প্রতি ঘন্টায় ১.৬ মিলিয়ন মাইল বেগে গেছে। মনে করা হচ্ছে যে এই একই গতিতে পৃথিবীর দিকে এই সৌর শিখাটি আসছে।
নাসার মতে এক্স ক্লাস হল সব থেকে তীব্র ফ্লেয়ার। এক্স এর সঙ্গে যে সংখ্যাটি থাকে সেটি আর শক্তির পরিমাণকে বোঝাতে সাহায্য করে যেমন x2 ফ্লেয়ার x1 ফ্লেয়ারের থেকে দ্বিগুণ হয় আবার x3 হয় তিনগুণ বেশি তীব্র। নাসার মতে সৌর বাতাস একটি প্লাজমার ঘন স্রোত যেটি সূর্য থেকে বেরিয়ে মহাকাশে ভাসে। নাসার মতে মহাকাশের সৌর ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বাইরে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে তা উত্তপ্ত হতে পারে এবং যার কারণে উপগ্রহ গুলির উপর প্রভাব পড়বে। এই সৌর ঝড়ের প্রভাবে মোবাইলের সিগন্যাল, স্যাটেলাইট, টিভিতে নানান রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা।