মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১শে অগাস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এমতাবস্থায় আবার তালিবানরা আফগানিস্তানের সরকার প্রতিষ্ঠা করায় মন দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ৯/১১-এর বিস্ফোরণের স্মৃতি উস্কে দিল সারা বিশ্বের সম্মুখে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ময়িদ ইউসুফ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত ৯/১১- এর মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন এহেন অবস্থায় আফগানিস্তানকে একা ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো ৯/১১- এর মতো ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেওয়া। আফগানিস্তানের মাটি থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে ৯/১১- এর মতো ঘটনা আরও বাড়বে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সমর্থনকারী চীনের গলাতেও শোনা যাচ্ছে সেই একই আশঙ্কার সুর। পাকিস্তানের আশঙ্কা আফগানিস্তানের মাটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে উদ্বাস্তু সমস্যা বাড়বে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এখন বিশ্বের সম্মুখে নিজেদের গুরুত্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে। তাই বিশ্বের নজরে নিজেদের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ফের আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। তারা বিশ্বের সম্মুখে এই বার্তা দিতে চাইছে যে পাকিস্তানের সাহায্য ছাড়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব নয়! পাকিস্তানের পাশাপাশি চীন তালিবানের পাশে এসে দাঁড়ানোর পক্ষে বার্তা দিয়েছে।
মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী Wang Yi একটি বৈঠকের পরে এই বার্তা দিয়েছেন যে তালিবানের পাশে দাঁড়াক আমেরিকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকার উচিত তালিবানদের অর্থসাহায্য দেওয়া। সেনা প্রত্যাহার করে নিলে আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, এমনই আশঙ্কা চিনা বিদেশমন্ত্রকের।