জম্মু এবং কাশ্মীরের যে ড্রোন হামলা হয়েছিল তারপর থেকেই, পর পর দেখা গিয়েছিল ড্রোন। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লীতে। এই প্রতিরক্ষা করার জন্য এবার দশটি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা চলছে। প্রতিরক্ষা কাঠামো আরো বেশী মজবুত করার জন্যেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জানা গেছে যে, সোমবার বায়ুসেনা অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কেনার জন্য একটি লেটার ফর রিকোয়েস্ট করেছেন এবং যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে দশটি ড্রোন ধ্বংসকারী সিস্টেম কেনার জন্য।
এই ড্রোন গুলি ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন হতে হবে। এই ড্রোনগুলি লেজার রস্মি ব্যবহার করেই ধ্বংস করবে প্রতিপক্ষের ড্রোনকে। এই যন্ত্রগুলি বায়ু সেনার হাতে যখনি আসবে, তখনই তারা ব্যবহার করবে পাকিস্তান এবং চীন সীমান্তে থাকা বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলোতে। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, “জম্মু এবং কাশ্মীরের যে ড্রোন হামলা হয়েছিল, তারপর থেকেই পর তারপর আরো ড্রোন দেখা গেছে । নতুন করে প্রতিরক্ষা কাঠামো করার জন্য যে এবার দশ টি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা চলছে। তারপর প্রতিরক্ষা কাঠামো আরো বেশী মজবুত করার জন্যেই এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।
খবর সূত্রে জানা গেছে যে, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে অনেক ড্রোন কিনেছে। সরকারিভাবে এটা বলা হয়েছে যে পাকিস্তান এগুলি কিনেছে শুধুমাত্র পিজ্জা এবং ওষুধ দেশের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য। বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যে ড্রোন গুলি ব্যবহার করে আক্রমণ করা হয়েছে, সেগুলি আদৌ চীন থেকে কেনা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখন তদন্ত চালানো হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে জম্মু এবং কাশ্মীরের মাধ্যমে যে হামলা আগে করা হয়েছে, তারপরও বড়োসড়ো আকার নিতে পারে এটাই প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। তাই নিরাপত্তায় যাতে কোনরকম ফাঁক না থাকে সেই জন্যেই বায়ুসেনা সমস্ত রকম চেষ্টা করছে।