জম্মু-কাশ্মীরের ফের বড়োসড়ো সেনা সমাবেশ হচ্ছে। বিশেষত সন্ত্রাস অধ্যুষিত দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলাগুলিতে বৃহৎ সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে যার ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বদের আশঙ্কা বাড়ছে বৈ কমছে না। তারা এই ভেবে আতঙ্কিত যে জম্বু-কাশ্মীরের ফের সেনা সমাবেশ হলে তাদের আবার আটক করা হতে পারে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য তাদের সম্পূর্ণ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা তাদের রুটিন মেনেই জম্মু-কাশ্মীরে ফিরছেন আবার। তাই উপত্যাকা অঞ্চলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দের এই নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেই জানাচ্ছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যেগুলিতে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য উপত্যকা অঞ্চল থেকে আধা সেনাবাহিনীকে সাময়িকভাবে অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল। সেই কাজ শেষ হতেই তাই তারা আবার ফিরে আসছেন।
While rumours are flying thick and fast – should we be ready for second semester?
MLA’s hostel 2.0? 😬
— Tanvir Sadiq (@tanvirsadiq) June 6, 2021
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজি বিজয় কুমারও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন নতুন করে সেনা সমাবেশ হচ্ছে না। বরং উপত্যকা অঞ্চল থেকে ভোটের প্রয়োজনে যে সেনাদের বাইরে পাঠানো হয়েছিল তাদের আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্বে কাশ্মীর থেকে প্রায় ২০০ কোম্পানি আধাসেনা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তারা আবার নিজেদের স্থানে ফিরে আসছেন। অতএব চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তবে বিশ্লেষকরা অবশ্য এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাদের অনুমান, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকেই কার্যত উপত্যাকা অঞ্চলে জঙ্গী ক্রিয়া-কলাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাই পুনরায় কাশ্মীর অঞ্চলের সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। হুরিয়ত-সহ কাশ্মীরি রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই অনুমান তাদের।