সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

৬ বছরের শিশুকে ধ’র্ষ’ণ করে খু’ন তেলেঙ্গানায়, অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করা হবে, বললেন রাজ্যের মন্ত্রী

ধর্ষণের পরিমাণ যেন দেশের কোণে কোণে ক্রমশ আরো বেড়ে যাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ এমন কি এখন এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার শামিল হচ্ছে অসংখ্য অভিযুক্তরা। দেশের অবস্থা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে তা ভাবতেই অবাক লাগে। দেশের কোনে কোনে যখন এই ধরনের ধর্ষণের পরিমাণ দিনে দিনে বেড়ে যায়, সেখানে নানান জায়গাতেই মাঝে মাঝে দেখা যায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ। কিন্তু সেই বিক্ষোভ এর পরিণাম কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং কতটা সেই বিক্ষোভ কাজে লাগে তা পরিষ্কার নয় কোনোদিনই।

এমন অবস্থাতে আমরা আজ দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে ছোট থেকে বৃদ্ধ কারোরই কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। ২০১৯ সালে যখন হায়দ্রাবাদে একটি গণধর্ষণ হয়েছিল সেই সময় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের কথা প্রকাশ পেতেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল এবং সেই একই ঘটনার প্রকোপ দেখা গেল তেলেঙ্গানায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের কথা ঘোষণা করেছেন।

তেলেঙ্গানায় ৬ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্যের মন্ত্রী এই ধরনের একটি হুঁশিয়ারি দিলেন। গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেশী, এক ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করে। ঘটনাটি ঘটানোর পর অভিযুক্ত পলাতক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মনে করেন যে, “অভিযুক্তকে পেলে অবশ্যই এনকাউন্টার করে দেওয়া হবে”।

নিগৃহীতার পরিবারের পাশে রয়েছেন সেটাই তিনি জানান। সকলের প্রতি সমবেদনা জানান। জানা যায় যে, গত বৃহস্পতিবার এই ওই শিশুকন্যাটি সকাল বেলা থেকেই নিখোঁজ ছিল এবং বিকেল পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে, না পাওয়ার পর অবশেষে যখন পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে ডায়েরি করে ,এরপর পুলিশ তদন্তে নামার পরও মেয়েটির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি অবশেষে পরের দিন সকালে ওই অভিযুক্তর বাড়ি থেকেই পাওয়া যায় ওই ছয় বছরে শিশুকন্যাটির মৃতদেহ।

এর পরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। অভিযুক্তকে যাতে তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা হয় সেরকমই বিক্ষোভ দেখা যায় এলাকাজুড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই অভিযুক্তকে তাদের হেফাজতে নেওয়া হবে। অভিযুক্ত কে ধরার জন্য তল্লাশি চালায় পুলিশ। হায়দ্রাবাদের পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয় ওই অভিযুক্তকে ধরে দেওয়ার জন্য, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি ওই অভিযুক্তের । এখন প্রশ্ন হচ্ছে সে অন্য কোন রাজ্যে পালিয়ে গেছে কিনা, তবে এই সমস্ত ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।