সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১৩০৬ টি পা এই একটা প্রাণীর! হ’ত’বা’ক বিজ্ঞানীরা, পাওয়া গে’লো অস্ট্রেলিয়ার খনিতে

এতদিন পর্যন্ত আমরা অতিরিক্ত পা বিশিষ্ট প্রাণী গুলোকে মিলিপিড বলে চিনতাম। মিলিপিড প্রাণীদের অতিরিক্ত পা রয়েছে, যে মিলিপিড প্রাণীর সবথেকে বেশি পা রয়েছে তার সংখ্যা হল ৭৫০। এর বেশি পা বিশিষ্ট মিলিপিড প্রানী এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে এইবার একটি সোনার খনি থেকে পাওয়া গেল অতিরিক্ত পা বিশিষ্ট একটি নতুন প্রানীর সন্ধান এবং বিজ্ঞানীরা সেই প্রাণীর পা গুনতে গিয়ে একেবারে বেহুঁশ অবস্থা, কারণ সেই প্রাণীটির পা প্রায় ১,৩০৫ টি।

এই বিশেষ প্রাণীটি আবিষ্কার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে। গোটা ব্যাপারটি বিষয়ে সাইন্স নিউজ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই প্রাণীর মোট আটটি নমুনা কে ইতিমধ্যেই ধরা হয়েছে এবং পাতার লিটার দিয়ে এই প্রাণীগুলোকে ধরার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রায় ৬০ মিটার গভীরে খনিজ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত যে সমস্ত গ্রিল সেগুলিকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে যখন ঐ প্রাণীগুলোকে খুব ভালোমতো দেখার জন্য পাঠানো হয় ব্ল্যাকসবাগের ভার্জিনিয়া টেকেন কীটতত্ত্ববিদ পর মারেকের কাছে।

তিনি এই প্রাণীটি বিষয়ে জানান,” এই প্রাণীটির অনেক পা রয়েছে এবং কিছুটা অতিরঞ্জনে বলা চলে কারণ এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত মিলেপিড প্রাণীগুলি পেয়েছে তাদের পা ৭০০টির বেশি ছিল কিন্তু এই নতুন ধরনের মিলেপিড আবিষ্কার হয়েছে তা প্রায় সমস্ত পুরনো ধারণা আমাদের বদলে দিয়েছে। মিলেপিড কথাটির অর্থ হল “হাজার পা” কিন্তু এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত মিলে প্রাণীগুলি পাওয়া গেছে ১০০০ টা পা কখনই দেখা যায়নি, সবথেকে বেশি পা বিশিষ্ট যে প্রাণীটির পাওয়া গিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার থেকে তবে তার পা ছিল ৭৫০ টি”।

অন্যদিকে আবার নতুন এক ধরনের ট্রু মিলিপাইড পার্সিফোনের পা রয়েছে ১৩০৬। আসলে পার্সিফোন এই নামটি ওই নতুন প্রজাতিটির নাম রাখা হয়েছে কারণ এই পার্সিফোন নামটি হল গ্রিক পাতাল দেবীর নাম। এই ধরনের প্রাণীটির শারীরিক গত বৈশিষ্ট্য হলো এদের চোখ এবং পিগমেন্টেশনের যথেষ্ট অভাব বর্তমান, সে দীর্ঘ শরীর। এই প্রাণীটি শরীরের রয়েছে ৩০টি খাঁজযুক্ত অংশ যার জন্য এরা পাথুরে অঞ্চলে খুব ভালোমতোই চলাচল করতে পারবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এই প্রাণীটির খাদ্য ছত্রাক।