পরীক্ষার কিছুক্ষণ আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রাজস্থান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ধুন্ধুমার শুরু হয়েছে। পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেফতারও করেছেন। তবে এই ৪৪ জনের মধ্যে ৩৭ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশন এই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করেছেন।
ইতিমধ্যে পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং তদন্ত মারফত যা উঠে আসছে তা হল: পরীক্ষা শুরুর আগে পুলিশের কাছে খবর এসেছিল প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সেইমত পুলিশ একটি বেসরকারি বাসে তল্লাশিও চালায়, সেখানে কয়েকজন প্রার্থীও ছিল যাদের কাছে এই প্রশ্নপত্র ছিল। রীতিমতো বাসটিকে মাঝপথে দাঁড় করিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় এবং সেখান থেকে তারা ৩৭ জন পড়ুয়া কয়েকজন এক্সপার্ট ও পরীক্ষা নিয়মকও ছিলেন ওই বাসে।
তাদের সকলকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ আরো জানায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিতে তারা রাজি হয় এবং সেই মতোই তাদের প্রস্তুতি চলছিল। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুরেশ বিষ্ণু নামের এই ব্যক্তিও যার নাম যুক্ত রয়েছে ৪৪ জনের তালিকাতেও।
তিনি যোধপুরের বাসিন্দা যে কারণে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট স্বয়ং এ পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। ২৪শে ডিসেম্বর সকাল ন’টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত পরীক্ষাটিকে বাতিল করা হয়েছে আগামী দিনের কথা ভেবেই। কারণ চাকরির পরীক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত একটি কঠোর শ্রমের বিষয় সেই বিষয়টিতে যাতে কোন অরাজকতা না হয় সেই কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
তবে এদিন গুলাব চন্দ্র কাটারিয়া যিনি রাজস্থানের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে পরিচিত, তিনি জানান এই নিয়ে আট বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যা একপ্রকার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর চরম ব্যর্থতা আর এই নিয়ে বিরোধীরা সরবও হয়েছেন।