বর্তমানে এর চাহিদা তুঙ্গে, আমরা কথা বলছি খেজুর চাষ নিয়ে, যেটি মূলত আরব ও আফ্রিকায় সবথেকে বেশি পরিমাণে চাষ হয়। কিন্তু বর্তমানে ভারতের বাজারেও এর চাহিদা কম নয়, তাই অনেকেই এই চাষ করে ভালো মুনাফা লাভ করছেন। তবে এই খেজুর আবার দু’রকমের হয় পুরুষ এবং মহিলা। স্ত্রী প্রজাতির মধ্যে খুঞ্চি, হিল্লাভি,বার্হি , অন্যদিকে পুরুষ প্রজাতির মধ্যে হল ধানমি মেল ও মাদসারিমেল।
তবে শুধু খেজুর ও খেজুর রস নয়, খেজুর থেকে ছাড়াও তৈরি হয় চাটনি আচার নানারকম বেকারির জিনিস। খরচা আয়ত্তের মধ্যে থাকে কিন্তু উপার্জনও কম হয়না। এক একর জমিতে প্রায় ৭০ টি চারা রোপণ করা সম্ভব হয় এবং এক একটি গাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।
তবে এগুলি এককালীন ফলন হয় ৫ হাজার কেজি পর্যন্ত যার ফলে কৃষকরা খুব সহজেই পাঁচ বছরে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেন। তবে এই খেজুর চাষের জন্য প্রয়োজন বেলে মাটি এবং উপযুক্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা। মূলত এ চাষ করা কষ্টকর হয় না, জলের খুব বেশি প্রয়োজন নেই, যার ফলে সূর্যালোকে সহজেই বেরে উঠতে পারে, এমনকি এই গাছ ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ফল পাকার জন্য দরকার ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা।
আরো পড়ুন: হাতে বা’ধা রয়েছে কালো-হলুদ অথবা লাল সুতো? কোন রঙের সুতোর কি কা’জ জেনে নিন
তবে এই চাষে জমি প্রস্তুত করাই হলো প্রধান বিষয়, এই চাষের জন্য মূলত বালি জাতীয় জায়গা ও ভাঙ্গা মাটির প্রয়োজন পড়ে। এই চাষ করার আগে মাটিকে ভালো করে খনন করতে হয়, গাছগুলি মোটামুটি এক মিটার দূরত্বে বসাতে হয় এবং ২৫ থেকে ৩০ কেজি গোবর মাটিরও প্রয়োজন হয়। তবে এই ছাড়া মূলত আগস্ট মাসে রোপণ করা হল আদর্শ সময়।
একটি গাছ রোপন করার অন্তত ৩ বছর পর থেকে ফল দেয়া শুরু করে। তবে এই চাষ করতে খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না কারণ এতে সেচের প্রয়োজন মূলত হয় না বললেই চলে।এমনকি ১৫ থেকে ২০ দিন অন্তর জল দিলেও চলবে। তবে মূলত সমস্যা হয় ফল পাকার সময় যখন পাখিরা আক্রমণ করে, তাই মূলত পাখির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে গাছের মধ্যে জাল বিছিয়ে রাখা হয়। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কম পরিশ্রমে মুনাফা করতে চাইলে আজই এই চাষ শুরু করুন।