গল্পটি থাইল্যান্ডের নাখোন রাটচাসিমা চিড়িয়াখানার, যেখানে চিড়িয়াখানার কর্মীরা এশিয়ান কিং ভালচার প্রতিপালনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। কি সেই ভূমিকা? তাঁরা দিনে অন্তত চারবার পাখি সাজছেন। লম্বা হাতা জামা কালো পোশাক লাল গ্লাবস এবং লাল ব্যালাক্লাভা পড়ে শকুনের রূপ ধরছেন তাঁরা।
এত কিছু সাজার উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শকুনের প্রতিপালননে সাহায্য করতে চান তাঁরা কারন তাঁদের স্বপ্ন একটাই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানায় এই সমস্ত শকুনের দলরা একদিন আকাশে ডানা মেলে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়াবে।
সেই সমস্ত পালিত শকুনদের একদিন বন্য পরিবেশের ছেড়ে দেবেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। তবে তাদের ছদ্মবেশ গ্রহণ করার কারণ হিসাবে যা জানা যায় তা হল পাখির শাবকদের মধ্যে যাতে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি গড়ে ওঠে।
তাই তাঁরা পাখির সাজে সেজে ডিম ফুটে শাবক বার হওয়া থেকে প্রতি পালনের প্রতিটি ধাপেই এই ছদ্মবেশ গ্রহণ করে থাকেন কারণ তাঁদের মা পাখিদের থেকে দূরে রেখেই তাদের প্রতিপালন করা হয়।
আরো খবর: মেয়ের ওজনের সমপরিমাণ টা’কা যৌতুক দেওয়া হলো জামাইকে! ঘটনায় শো’র’গো’ল
স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলি হল যেমন খাদ্যাভাসের শকুন শাবকদের অভ্যস্থ করে তোলা। তাদের খাবার হিসেবে দেয়া হয় মুরগির মাংস হরিণ ও খরগোশের মাংস। তাদের নিয়মিত রোদের উত্তাপে রাখা হয় যাতে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়।
Four times a day, Thai conservationist Watchiradol Phangpanya puts on a black, long-sleeved shirt, red gloves, and a red balaclava, hoping to imitate an endangered red-headed vulture feeding its baby https://t.co/UKajiedojv pic.twitter.com/yasS40QHlG
— Reuters (@Reuters) April 25, 2023
বলা চলে মৃত প্রাণীর খাবারে যাতে তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সেটির প্রবৃত্তি করে তোলা কারণ সারা পৃথিবীতে আজ তাঁরা বিলুপ্তই বলা চলে। তাই থাইল্যান্ডের এই চিড়িয়াখানায় তাঁরা শকুন প্রতিপালন করে যাতে আগামী দিনে এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সংখ্যা বাড়াতে পারেন।