বিবাহ বা বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দেশ ভেদে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য রয়েছে,তবে সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। অন্যদিকে যৌতুক বা পণ প্রথা হল কন্যার বিবাহে পিতামাতার সম্পত্তি,কন্যার হবু স্বামীকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া।
পাত্র-পাত্রীর বিবাহ হওয়ার সময়ে পাত্রীর জন্য তার পরিবার যা কিছু মূল্যবান সামগ্রী দেয়া , তাই হল যৌতুক।ভারতীয় আইন অনুযায়ী পণ নিতে গিয়ে ধরা পড়লে ৭ বছরের জেল হতে পারে। তবে এই আইনকে তোয়াক্কা না করেই ভারতের আনাচে কানাচে এখনও পণপ্রথার রমরমিয়ে চলছে। বাংলাদেশেও চল রয়েছে এই প্রথার।
সম্প্রতি এই পণ সংক্রান্ত এক খবরে সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের। সেখানকার মাঠপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রতন আলির মেয়ে মাছুরা খাতুন রিয়ার সঙ্গে বিবাহ হয় ওই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের।
আরো খবর: কোটিপতি হওয়া সময়ের অপে’ক্ষা মা’ত্র! এখানে বিনিয়োগ করুন মা’ত্র ৩ হাজার টা’কা, বিশদে জানুন
তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই বিয়েতে মেয়ের ওজনের সম পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছে যৌতুক হিসেবে।সম্প্রতি এই বিয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে,যেখানে দেখা যাচ্ছে লাল টকটকে বেনারসি শাড়ি পরিহিতা কনেকে বসানো হয়েছে একটি বড় দাঁড়িপাল্লার মধ্যে।
অন্য পাল্লায় ওজন করা হচ্ছে কয়েন। মেয়ের বাবা রতন আলি এই প্রসঙ্গে বলেন, ”মেয়ের জন্মের সময় আমাদের মানত ছিল মেয়ে বেঁচে থাকলে বিয়েতে তাঁর ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে তার ওজনের সমান কয়েন দেওয়া হয়েছে।”