আজকাল কার প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের দেখা যায় নিজের জীবন নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে। কিভাবে নিজের খুঁটি টা শক্ত করবে বা কিভাবে অনেক ওপরে উঠবে সেসব নিয়েই মেতে থাকতে। এমনও অনেক ছেলে মেয়েকে দেখা যায় যারা নিজের সুখ ও স্বাচ্ছন্দের বাইরে কিছু ভাবে না। কিন্তু কিছু ব্যাতিক্রমী মানুষকেও দেখতে পাওয়া যায় এখনও যারা এই সময়ের মানুষ হয়েও নিজের পরিবার পরিজনের কথা তাদের কষ্টের কথা আগে ভাবে।
আর সেরকমই একটি ছেলে হলো অবনিশ। সে বর্তমানে একজন ৩৫ বছরের একটি যুবক। তবে তাঁর জীবনের গল্প খুবই হার্ট টাচিং। ছোটো থেকেই খুব ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিল অবনিশ। সে যেমন ভালো ছিল পড়াশোনায় তেমন খেলাধুলাতেও ভালো ছিল। কিন্তু পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সে ওগুলোর পাশাপাশি তার বাবাকে সাহায্য করার জন্য ছোটো খাটো কাজ করে উপার্জন করতেন।
কিন্তু তিনি দেখলেন যে এতে তাদের সংসার চলছে না। তবুও চেষ্টা করত অবনিশ। সময় গেছে সে বড়ো হয়েছে একটা প্রাইভেট সংস্থায় কাজও পায় এদিকে তাঁর বাবার বয়স বাড়ছে তাই ওই কাজই করতে শুরু করে সে। কিন্তু পরিবারের কারণেই যখন দেখেন এতেও ফ্যামিলি চালাতে অসুবিধে হচ্ছে তার বাবার সুবিধার জন্য সে সারাদিন কাজ করার পরে আবার রাতে উবেরে চালক হিসেবে কাজে লাগে। এখন এগুলোই তাঁর চলছে একসাথে।
আরো পড়ুন: ইউক্রেন ই’স্যু’তে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চা’ই’ছে ভারত ও চীন, ইঙ্গিতপূর্ণ ম’ন্ত’ব্য পুতিনের
আর তার গাড়িতে উঠেই এক সওয়ারি তার মুখ থেকেই তার জীবনের গল্প শোনেন আর সেটাই পোস্ট করেন। যা এখনও অবধি খুবই ভাইরাল। অনেকেই তাঁর এই বাবা মার প্রতি ভালোবাসা দেখে বাহবা দিয়েছেন। এটি এতটাই ভাইরাল হয় যে, ১.৩ লক্ষ মানুষ এর মধ্যেই দেখেছেন এই ভিডিও।