যতদিন যাচ্ছে প্রায় প্রতিটা দেশের মধ্যেই আগের মত শান্তিপূর্ণ অবস্থায় আর নেই। সব দেশের মধ্যেই রাজনৈতিক সমস্যা লেগেই রয়েছে। চলতি বছর আমরা দেখেছি কিভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ লেগেছিল। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই দুই দেশেরই সাধারণ মানুষ।
হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায় এই যুদ্ধের ফলে তবু এই দুই দেশেরই টনক নড়ে না বরং রাশিয়া প্রেসিডেন্টকে শুক্রবার বলতে শোনা যায়, “ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমার কোনও পরিতাপ নেই। এটা ঠিক যে এই লড়াইতে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একের পর এক শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এর কোনটাই আমাকে দুঃখ দেয় না।” অর্থাৎ তিনি বলতে চান রাশিয়া যা করেছে ইউক্রেনের জন্য সেটা একেবারে ঠিক করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিনের সুর একটু বদলেছে ভারতের প্রতি। কারণ যুদ্ধের প্রায় আট মাসের মাথায় এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরো পড়ুন: ট্রাকের ভি’ত’রে গোটা বিয়েবাড়ি, দেখেই হ’ত’বা’ক রাস্তার লোকজন
এই শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান যে, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ‘শান্তিপূর্ণ আলোচনা’-য় সমর্থন জানিয়েছে ভারত ও চিন। আসলে এই সুর বদলানোর পিছনে কিছু কারণও রয়েছে। সম্প্রতি উজবেকিস্তানের সমরখন্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
সেখানে ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়’ বলে পুতিনকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাল্টা উত্তরে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান জানে রাশিয়া।” সব কিছু খুব দ্রুত শেষ হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মোদীর এই কথার মানে পুতিন সরকার হয়তো বুঝতে পারে, তাই কূটনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে পাশে পেতেই পুতিন এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন তাঁরা।