পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে প্রত্যেক মানুষেরই। কিন্তু অনেকেরই অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস রয়েছে। যাঁরা প্রচুর ঘুমান তাঁদের প্রায়ই অলস বলে গণ্য করা হয়। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, অতিরিক্ত ঘুম মানেই কিন্তু আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্যের প্রতি। দীর্ঘায়িত ঘুম অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। তবে এটি সম্পূর্ণরূপে একজনের জীবনধারা বা স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর ভিত্তি করে নাও হতে পারে।
তবে, ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের (এমজিএইচ) বিজ্ঞানীদের আশ্চর্যজনক নতুন সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, কিছু লোকের অন্যদের চেয়ে বেশি ঘুমানো দরকার এবং কেউ কেউ নাকি কেবল ঘুমানোর জন্যই জন্মগ্রহণ করেন। গবেষকরা ৪,৫২,৬৩৩ জনের জেনেটিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাঁরা দিনে কতবার ঘুমান। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষক ডা. হাসান দাশতি বলেছেন, ‘ঘুমানো কিছুটা বিতর্কিত। এটি হল জৈবিক পথগুলিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা, যেগুলো আমাদের ঘুমের ক্ষেত্রে অবদান রাখে।’
সঠিক ফলাফলে পৌঁছাতে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ঘুমের ডেটা রেকর্ড করার জন্য অ্যাক্টিভিটি মনিটর বা অ্যাক্সিলোমিটার দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দু’টি মেকানিজম এমন লোকদের উপর ফোকাস করে রাত কম হওয়ায় বা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কারণে দিনের বেলা ঘুমান। অন্য প্রক্রিয়াটি এমন লোকদের হাইলাইট করেছে যাঁদের কেবলমাত্র কারণ ছাড়াই আরও ঘুমের প্রয়োজন। ডা. দাশতি বলেন, ‘দিনের বেলা ঘুমানো জৈবিকভাবে চালিত। এটি একটি পরিবেশগত বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য নয়।’
গবেষণা পত্রের সহ-লেখক, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের স্নাতক ছাত্র, ইয়াস দাঘলাস জানিয়েছেন, ‘এই পথটি নারকোলেপসির মতো বিরল ঘুমের ব্যাধিগুলির সাথে জড়িত। আমাদের অনুসন্ধানগুলি দেখায় যে, কী কারণে কিছু লোক অন্যদের তুলনায় বেশি ঘুমান।’