সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১০ বছর আগে নি’খোঁ’জ হওয়া মেয়েকে ১৭ অফিসার মৃ’ত বলে চালিয়েছিল, DSP আশিস প্যাটেল খুঁ’জে বে’র করলেন

আজকের প্রতিবেদনে এমন একজন পুলিশ অফিসারের কথা বলব আপনাদের যিনি অসাধারণ একটি কাজ করে খবরের শিরোনামে এসেছেন। মধ্যপ্রদেশের ডিএসপি সহ ১৭ জন পুলিশ অফিসার একজন মহিলাকে খুজে বার করতে যখন পারলেন না, ঠিক তখনই আশীষ প্যাটেল সেই মহিলাকে খুজে বের করেছিলেন যাকে সকলে মৃত বলে মনে করেছিলেন।

पुलिस ने इतिहास खंगाला

আসল ঘটনাটি হল একজন মহিলাকে তার পুরো পরিবার ১০ বছর ধরে মৃত বলে মনে করেছিলেন। এমনকি এই ঘটনাতে হাল ছেড়ে দেন মধ্যপ্রদেশের প্রায় দেড় ডজন পুলিশ আধিকারিক। অবশেষে সেই মহিলার খোঁজ আনলেন ডিএসপি আশীষ প্যাটেল। সকলকে ভুল প্রমাণিত করে সেই মহিলাকে খুজে বার করলেন এই পুলিশ আধিকারিক।

तलाश का दायरा बढ़ाया

এ প্রসঙ্গে ডিএসপির বক্তব্য, ১৮ তম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি একটি অভিনব পদ্ধতি অনুসরণ করে ১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া সেই মহিলাকে খুঁজে বের করেন। মহিলাটি হলেন মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার কোটরা গ্রামের কালো মরির মেয়ে সন্তোষী মরি। ১৭ বছর বয়সে হঠাৎই একদিন মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ২০১১ সালের মে মাসে সন্তোষী নিখোঁজ হয়ে যাবার পর তার সম্পূর্ণ পরিবার চেষ্টা করেছিল তাকে খুঁজে বের করার। কিন্তু অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও নিখোঁজ মেয়ের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা থানায় যান।

 आदिवासी समुदाय जैसे कपड़ों से लगा सुराग

থানায় গিয়ে তারা জানান, বাড়িতে সকলের সঙ্গে কিছু সমস্যা হবার পর স্নান করতে চলে যায় সেই মেয়েটি। কিন্তু স্নান করতে গেলেও ফিরে আসে না বাড়িতে। তারপর থেকেই খোঁজ শুরু করেন তারা। অনেকেই মনে করেন নিশ্চয়ই মেয়েকে কুমিরে খেয়ে নিয়েছে। বহু খোঁজাখুঁজির পর মেয়েটির কোনো খোঁজ না মেলায় পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি গ্রামবাসীও সেই মেয়েটিকে মৃত বলে মনে করতে শুরু করেন।

परिजनों की आंखों से बहे खुशी के आंसू

সেই সময় মহিলা সুরক্ষা সেলের ডিএসপি পদে নিযুক্ত ছিলেন আশীষ প্যাটেল। মামলাটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ডিএসপির হাতে হস্তান্তরিত হয়। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট ওফ পুলিশ আশীষ প্যাটেল বলেছিলেন, নিখোঁজ মেয়েটির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি প্রথা ছিল, মেয়েদের বিয়ের সময় বর পক্ষ থেকে টাকা নেওয়া হয়। তাই সন্তোষীকে টাকার লোভে বেচে দেওয়া হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল।

ডিএসপি নিখোঁজ মেয়েটির খোঁজ নেওয়ার সময় জানতে পারে ভোপালের একস্থানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পোশাক পরিহিত এক মেয়ের কথা, এবং তখন সন্তোষীকে ফিরে পাওয়ার একটি আশা জাগে সকলের মনে। পুলিশ তারপর ব্যাংকের কর্মী সেজে ভোপালের ওই অঞ্চলে যান এবং সন্তোষীর সাথে দেখা করতে চান। অবশেষে সন্তোষীকে চিনতে পেরে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।